নিজস্ব প্রতিবেদন: মেয়েদেরকেই নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছি আমরা। ছেলেদেরকেও বাবা-মার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত বলে পুদুচেরির লেফ্টান্যান্ট গভর্নর কিরন বেদী পরামর্শ দিলেন। মেয়েরা বাইরে বেরলেই, নানা নিদান দিয়ে পায়ে বেরি পরিয়ে দেন বাবা-মারা। এখানে যাবে না, ওখানে যাবে না, বেশি রাত করে বাড়ি ফেরা যাবে না- এমন সব বিধিনিষেধ হামেশাই সন্তানদের দিয়ে থাকেন তাঁদের বাবামায়েরা। কিন্তু শুধুমাত্র কন্যা সন্তানের জন্য। এখানেই ১৯৭২-এর আইপিএস অফিসারের প্রশ্ন, ছেলেদের ক্ষেত্রে এই প্রশ্নগুলো করা হয় না কেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিরন বেদী বলেন, “ছেলেরা দেরিতে বাড়ি ফিরলে কখনও প্রশ্ন করা হয় না। তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। কাদের সঙ্গে মিশছে খেয়াল রাখা উচিত মা-বাবাদের।” কিরন প্রশ্ন তোলেন, পুত্র সন্তান বলেই কি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার কথা বলেন না বাবা-মারা? মহিলাদের এই দুর্দশার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করান কিরন বেদী। বলেন, “পরীক্ষামূলক শিক্ষা ব্যবস্থায় ছেলেরা লিখতে, পড়তে জানে। তাদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরি হয় না। যার কারণেই মহিলারা পুরুষের হাতে নির্যাতিত হচ্ছেন।”



আরও পড়ুন- এবার ঈশ্বরই বাঁচাতে পারে দেশের অর্থনীতি, জেলে বসে কটাক্ষ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর


এক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ‘নির্ভয়া তহবিল’ কানাকড়ি ব্যবহার করেনি কয়েকটি রাজ্য। এ বিষয়ে সরব হয়ে কিরন বেদী জানান, নির্ভয়া তহবিলের বরাদ্দ অর্থ মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য যথাপোযুক্ত ব্যবহার করা উচিত। অন্ধকার এলাকাগুলিতে সন্ধে থেকেই পুলিসি-পেট্রোলিং চালানো প্রয়োজন। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত বলে দাবি করেন কিরন বেদী।