নিজস্ব প্রতিবেদন: অভিনেতা তথা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার মোদী বিরোধিতাকে হাতিয়ার করে এবার আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বিরোধীরা। নির্বাচনী ময়দানে শুধু বিহারীবাবুই নয়, তাঁর স্ত্রীকেও বিরোধীরা নামাতে চাইছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বিহারের পাটনা সাহিবের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। গত কয়েক বছর ধরেই তিনি বিজেপিতে থেকেও মোদীর বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। তাই এবার তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। বরং ওই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে।


তার পর কংগ্রেসের পথ ধরেছেন শত্রুঘ্ন। দেখা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখনও কংগ্রেসে যোগদান করেননি। কেন দেরি হচ্ছে তাঁর যোগদানে?


আরও পড়ুন: নিজের হাতে গড়া জেট এয়ারওয়েজ ছাড়লেন, বিদায়বেলায় আবেগপ্রবণ নরেশ গোয়েল


এই প্রশ্নের উত্তরেই লুকিয়ে রয়েছে বিরোধীদের নয়া কৌশলের কথা। একটি সূত্র জানা গিয়েছে, ওই অভিনেতার স্ত্রী পুনম সিনহাকেও প্রার্থী করার জন্য আলোচনা চলছে। সমাজবাদী পার্টির টিকিটে তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে উত্তরপ্রদেশের লখনউ কেন্দ্র থেকে।


ওই কেন্দ্র ১৯৯৮ সাল থেকে বিজেপির দখলে। টানা চারবার সেখান থেকে জিতেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ী। তার পর ২০১৪ সালে বিজেপি ওই কেন্দ্রে টিকিট দেয় রাজনাথ সিংকে। সেখান থেকে জিতেই মোদী সরকারকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন রাজনাথ।


আরও পড়ুন: ছত্তীসগঢ়ে মাও-নিরাপত্তারক্ষীর গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল ৪ বিএসএফ-র, আহত ২


এবারও ওই কেন্দ্রে রাজনাথ সিং ভোটে লড়ছেন। আর রাজনাথের বিপরীতেই পুনমকে লড়াতে চায় বিরোধীরা। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির জোট হয়েছে। সেই জোটে নেই কংগ্রেস। কিন্তু ওই সূত্রের দাবি, পুনম সিনহা প্রার্থী হলে লখনউ আসনে কোনও প্রার্থী দেবে না রাহুলের দল।


ওই সূত্রকে কংগ্রেসের এক নেতা জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের সাতটি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে না বলে ঠিক করেছে। তার মধ্যে লখনউ অন্যতম। ওই কেন্দ্রে জিতিন প্রসাদ প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই দাবি নাকচ হয়ে গিয়েছে। জিতিনকে তাঁর আসন ধৌরহরাতেই টিকিট দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। ফলে লখনউ আসন সপা-বসপা জোটের জন্য ফাঁকা রাখাতে কোনও বাধা নেই বলে ওই নেতার দাবি।


আরও পড়ুন: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সর্বোচ্চ অসমারিক সম্মান আমিরশাহির, জায়েদ পদক পাচ্ছেন ‘বন্ধু মোদী’


প্রশ্ন উঠছে, হঠাত্ রাজনাথের আসনে বিরোধীরা কেন একের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ে নামতে চাইছে? ওই সূত্রের দাবি, রাজনাথ সিংকে ওই আসনের মধ্যে আটকে রাখতে চাইছে বিরোধীরা। তাই চাপ বাড়ানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে।


বিজেপি যদিও এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। দলের নেতা বিজয় পাঠক জানান, লখনউ-তে গত পাঁচ বছরে অনেক কাজ করেছেন রাজনাথ। তাই তাঁর হারার কোনও অবকাশ নেই। ফলে পুনম সিনহা প্রার্থী হলেও বিরোধীরা কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না।


আরও পড়ুন: ‘কেরলে বামদের বিরুদ্ধে একটাও কথা নয়’ ওয়াইনাড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েই নরম সুর রাহুলের


২০১৪ সালে লখনউ আসনে রাজনাথ সিং ৫৫.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতে তিনি লিড পেয়েছিলেন। এবার সেই ট্রেন্ড বজায় থাকলে বিরোধীরা একজোট হয়েও বিশেষ লাভ করতে পারবে না বলেই মত পর্যবেক্ষকদের।