নিজস্ব প্রতিবেদন:  করোনা পরিস্থিতিতে নাজেহাল অবস্থা। বেহাল স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে  আর পারছেন না! নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। বিরক্তি চরম পর্যায়ে উঠে গিয়েছে। এহেন সময় ডাক্তারের চেম্বারে ভিড় করে রয়েছেন অনেকে। চিৎকার করে করে কথা বলছে তারা। নিজেদের রোগীর ব্যপারটা বুঝে নিতে চাইছে। ডাক্তার অনেকক্ষণ ধরে বিরক্তি চেপে রেখে সবার সমস্যা শুনছিলেন। কিন্তু, সবাই একই সময়ে নিজেদের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছিল। এমন সময়, ধৈর্য্যের বাধ ভেঙে যায়। মস্তিষ্ক আর কাজ করে না। মন ততক্ষণে দুর্বল। অন্যদিকে, নার্সও কাজের চাপে বেসামাল। মাথা ঠিক রাখতে পারছেন না। তিনি ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেন ডেথ সার্টিফিকেট কোথায়। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। বেস... সেই মুহূর্তে ডাক্তারকে অকারণেই থাপ্পড় মেরে দেন নার্স। ডাক্তারেরও ধর্য্যের বাধ ভেঙে যায়। নার্সকে ঘুষি মেরে দেন তিনি। এটি আপাতত দৃষ্টিতে নারী নির্যাতন বটেই। রাগ নিজের হাতের মুঠোয় রাখাটাই পারদর্শিতা। কিন্তু  উনি ব্যর্থ হন। সকলের সামনে নার্সের দুর্ব্যবহার নিতে পারেননি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাসপাতাল তরফে জানা গিয়েছে অত্যাধিক কাজের চাপে মাথা ঠিক ছিল না তার সেই সময়ে। এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রামপুর জেলায়। 


আরও পড়ুন: ১৮ এর উর্ধ্বে টিকাকরণ, আজ থেকে শুরু Registration, কীভাবে করবেন? জেনে নিন


জানা গিয়েছে ঘটনার প্রেক্ষাপটটা ছিল এইরকম-- এক কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পরিবার মৃত্যুর শংসাপত্রের জন্য হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে যোগাযোগ করে। নার্স ডাক্তারের কাছে গিয়ে ওই ডাক্তারকে মৃত্যুর শংসাপত্রের জন্য লিখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।  তারপরই ঘটে ঘটনাটি। রামপুর পুলিশ জানিয়েছে যে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামজি মিশ্র ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।



তিনি জানিয়েছেন, "আমি তাদের দু'জনের সঙ্গেই কথা বলেছি। তাঁরা বলেছেন যে তাঁরা ওপর দিয়ে খুব কাজের চাপ যাচ্ছে। তবুও, আমরা ঘটনার তদন্ত করব এবং দুজনের সঙ্গেই পুনরায় কথা বলা হবে।"