নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে প্রবল বিক্রমের সঙ্গে লড়েছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কোয়াজা সাজ্জাদ জাহির (Lt Colonel Quazi Sajjad Zahir)। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের। তবে জানেন কি বাংলাদেশের হয়ে মুক্তিযুদ্ধ লড়াই করলেও, লেফটেন্যান্ট কর্নেল কোয়াজা সাজ্জাদ জাহির (Lt Colonel Quazi Sajjad Zahir) আদৌ বাংলাদেশের বাসিন্দা নন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদতে তিনি ছিলেন পাকিস্তানের বাসিন্দা এবং পাক সেনাতে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ববঙ্গের নিরীহ মানুষদের উপর পাক সেনার বর্বরোচিত অত্যাচার দেখে তাঁর মন পাল্টে যায়। পকেটে ২০ টাকা, সামান্য কিছু পোশাক নিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন কর্নেল কোয়াজা সাজ্জাদ জাহির (Lt Colonel Quazi Sajjad Zahir)। পাক সেনার বহু গোপন তথ্য ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেন তিনি। দেশ ছেড়ে পালিয়ে এলে তাঁর নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে তৎকালীন পাক সরকার। 


এক সাক্ষাৎকারে কর্নেল জাহির জানিয়েছিলেন, "জম্মু-কাশ্মীরে সাম্বা সীমান্ত দিয়ে আমি ভারতে প্রবেশ করেছিলাম। পকেটে ছিল ২০ টাকা। পাক সেনার যুদ্ধ কৌশল সংক্রান্ত যা তথ্য আমার কাছে ছিল সব ভারতীয় সেনাকে জানিয়েছিলাম। পাক সেনার জন্য আমাদের পরিবার অনেক ভুগেছে। আমার বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার মা-বোনের ঠাঁই হয়েছিল উদ্বাস্তু ক্যাম্পে।"


জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সিলেটে মুক্তি বাহিনীকে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭১-এর ১৬ ডসেম্বর শেষ হয় মুক্তি যুদ্ধ। এরপর অবসর নেন কর্নেল কোয়াজা সাজ্জাদ জাহির (Lt Colonel Quazi Sajjad Zahir)। ভারত ও বাংলাদেশের মানুষদের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ আজও অনেকের মনে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৩টি বই লিখেছেন কর্নেল জাহির। তাঁকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান 'স্বাধীনতা পদক' (Swadhinta Padak) দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ভারত সরকারও তাঁকে 'পদ্মশ্রী' সম্মানে ভূষিত করেছে।


আরও পড়ুন: Harbhajan Singh: কংগ্রেসের যোগ দিচ্ছেন হরভজন! জোর জল্পনা সিধুর টুইটে


আরও পড়ুন: Helicopter Crash: কপ্টার দুর্ঘটনার শেষ জীবিত যাত্রী গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং প্রয়াত


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App