নিজস্ব প্রতিবেদন : পেটের দায়ে পাচারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন লাহৌরের বাসিন্দা ফতিমা, মমতাজ ও রাশিদা। সেই কাজ করতে গিয়ে ভারত-পাক সীমান্তে ২০০৬ সালে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন তাঁরা। অমৃতসর জেলে সেই থেকে বন্দি ছিলেন তাঁরা। ১১ বছরের পর বৃহস্পতিবার তাঁরা দেশে ফিরলেন। কিন্তু তিন জন নয়, ফিরলেন চারজন। কারণ তাদের সঙ্গে ছিল ফতিমার ১১ বছরের কন্যা হিনা। তার জন্ম অমৃতসর জেলেই। প্রথমবার দেশের মাটিতে পা রেখে উচ্ছসিত হিনা। হাতে তুলে নিল পাকিস্তানের পতাকাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৬ সালে পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মমতাজ, রাশিদা সঙ্গে ফতিমাকেও। আদালতের নির্দেশে ২০০৭ সালে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় তাঁদের। ফতিমা তখন গর্ভবতী। বন্দিদশায় জন্ম হয় হিনার। নিয়ম অনুসারে তাঁদের ১০ বছরের সাজা ভোগ করার পাশাপাশি ২ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দিতে হয়। অবশেষে বৃহষ্পতিবার মুক্তি পান তাঁরা। কিন্তু, কিন্তু কোলেকাঁখে বড় করে তোলার পর হিনাকে ছাড়তে যেন মন চাইছিল না জেলকর্মীদের। তাই সীমান্ত পার করার সময় কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরাও।


এদিকে, ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করা মাত্রই তাকে বুকে টেনে নেন তার বাবা সইফুল রহমান। জন্মের এই প্রথম হিনাকে চর্মচক্ষুতে প্রত্যক্ষ করলেন তিনি। আবেগ তাড়িত হয়ে সইফুল বলেন, ''প্রথম স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে লাহোরের দাতা দরবারে যাব।'' পাশাপাশি জেলে বন্দিদশায় মেয়ে ও স্ত্রীয়ের সঙ্গে ভারতীয় জেলকর্মীদের মানবিক ব্যবহারের প্রশংসা করেন সইফুল।


আরও পড়ুন- স্থগিতাদেশ নয়, আধার সংযুক্তিকরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে সাংবিধানিক বেঞ্চই : সুপ্রিম কোর্ট