কঠিন পরিস্থিতিতে সাফাইকর্মীরা আসল হিরো, ফুল দিয়ে জানানো হল কৃতজ্ঞতা
প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ ইতিমধ্যে ডাক্তার, নার্স, সাফাইকর্মীদের কুর্ণিশ জানিয়েছেন। কিন্তু এবার জনগণ আরও এক ধাপ এগিয়ে সাফাইকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করল।
নিজস্ব প্রতিবেদন— আট দিনে পড়ল লকডাউন। এখনও ১৩ দিন বাকি। দেশবাসী ঘরবন্দি। বাড়ির প্রতিটা সদস্য এখন ঘরবন্দি। ফলে বাড়িতে বর্জ্য জমা হচ্ছে আগের থেকে বেশি। তার উপর চারপাশে করোনার চোখরাঙানি। দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সাফাইকর্মীরা। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি এসে নোংরা আবর্জনা নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলছেন তাঁরা। তার উপর করোনার জীবাণু ধ্বংস করতে বিভিন্ন জায়গায় কীটনাশক ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা।
গোষ্ঠী সংক্রমণ আটকানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু এখনও কিছু মানুষ নির্দেশ অমান্য করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ছেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার চেন ভাঙতে হলে এই সময় প্রত্যেকের বাড়িতে থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা লড়ছেন দিন—রাত এক করে। আর তাঁদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই চালাচ্ছেন সাফাইকর্মীরাও। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ ইতিমধ্যে ডাক্তার, নার্স, সাফাইকর্মীদের কুর্ণিশ জানিয়েছেন। কিন্তু এবার জনগণ আরও এক ধাপ এগিয়ে সাফাইকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করল। ফুল দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো হল সাফাইকর্মীদের।
আরও পড়ুন— করোনার টিকা আবিষ্কারে নেমেছেন দেশের সেরা দশ বিজ্ঞানী, পথ দেখাবে ভারতই!
প্রত্যেকটি এলাকা যাতে এই সময় পরিষ্কার—পরিচ্ছন্ন থাকে সেই জন্য ঝুঁকি নিয়েও কাজ করে চলেছেন সাফাইকর্মীরা। আর তাই সাফইকর্মীদের এই লড়াইকে কুর্ণিশ জানাতে পাতিয়ালার নাভা এলাকার জনগণ তাঁদের হাতে ফুল তুলে দিলেন। এই দুর্দিনে এমন সামান্য উদ্যোগ তাঁদের অনুপ্ররণা জোগাবে বলে জানালেন নাভা এলাকার জনগণ। আর এবার নাভার মানুষদের এমন উদ্যোগ গোটা দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে গেল। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নাভার মানুষদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই কঠিন সময় আমাদের সবাইকে একে অপরের পাশে থাকতে হবে। তবেই দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।