নিজস্ব প্রতিবেদন - সেনা জওয়ান। তাই আর পাঁচ জনের থেকে তাঁর কর্তব্য, দায়িত্ববোধ অনেক বেশি। দেশ ও দেশবাসীর স্বার্থে একজন সেনা জওয়ান যা করতে পারেন, সাধারণ মানুষ ভাবতেও পারবেন না হয়তো! জম্মু কাশ্মীরের সোপোর এলাকায় গতকাল জঙ্গি হানা হয়েছিল। এই আর পি এফ কনভয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করেছিল জঙ্গিরা। সেই সময় ওই এলাকায় প্রচুর গাড়ি চলছিল। লোকজন ছিল রাস্তায়। ফলে বহু মানুষের প্রাণ হানি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সময় মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন সেনা জওয়ানরা। তবে জঙ্গিদের গুলিতে মারা যান একজন প্রবীণ নাগরিক। নাতিকে নিয়ে সকালবেলা দুধে কিনতে বেরিয়েছিলেন তিনি।জঙ্গিদের গুলির মাঝে পড়ে গিয়েছিল বাচ্চাটি। সিআরপিএফ জওয়ানরা বাচ্চাটিকে বাঁচাতে নিজেদের  কথা ভাবেননি। ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জঙ্গিদের গুলি আটকাতে বুলেটপ্রুফ গাড়ি এনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য তার আগেই গোলাগুলির মাঝে ৮০ মিটার হামাগুড়ি দিয়ে বাচ্চাটির কাছে পৌঁছে যান সো আর পি এদের ৯৫ ব্যটেলিয়ানের জওয়ান পবন কুমার চৌবে। বাচ্চাটিকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর গুলি লাগার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তিনি সেসব ভাবেননি। ওই সময় বাচ্চাটিকে বাঁচানোই তাঁর কাছে আসল লক্ষ্য ছিল। পবন জানিয়েছেন, বাচ্চাটি তার দাদুর মৃতদেহের আশপাশে ঘুরছিল। কখনও আবার দাদুর মৃতদেহের ওপর গিয়ে বসছিল। পবন ও তাঁর সঙ্গীরা সেটা দেখতে পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠেন। এরপরই পবন জীবন বাজি রেখে বাচ্চাটিকে বাঁচাতে যান। সেই সময় জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি ফায়ারিং করছিল। কোনওরকমে বাচ্চাটিকে বাঁচিয়ে আনেন পবন।


আরও পড়ুন- ভারত- চিন বিবাদের মাঝেই ফের কেঁপে উঠল লাদাখ


বেনারস থেকে ২২ কিমি দূরে পবন কুমার চৌবের গ্রাম। রোজ সকালে বাড়িতে একবার করে ফোন করেন পবন। কিন্তু গতকাল করেননি। এরপর তার বাড়ির লোক বেলায় তাঁকে ফোন করেন। পবন তখন বলেন, টেনশনে আছেন। পরে ফোন করবেন। এরপর ছেলের সাহসিকতার কথা খবরের চ্যানেলে দেখে জানতে পারেন পবনের বাবা মা। রাতে পবন ফোন করেন তাঁদের। ছেলের কোনও ক্ষতি হয়নি জেনে আশ্বস্ত হন তাঁরা। এদিন সি আর পি এফের তরফে পবনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা বাবাকে সম্মান জানানো হয়। ছেলের সাহসিকতায় গর্বিত বাবা মা। গ্রামবাসীরা ও পবনের জন্য গর্ববোধ করছেন।