জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ, ১২ জানুয়ারি জাতীয় যুবদিবস। দিনটি, সকলেই জানেন, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। ১৯৮৪ সালে ভারত সরকার দিনটিকে ন্যাশনাল ইয়ুথ ডে ঘোষণা করেছিল। তারপর থেকে সাড়ম্বরে ও সোৎসাহে দিনটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। অন্য মহাপুরুষদের জন্মদিনের মতো দিনটি নিছক একটি ছুটির দিনে পর্যবসিত হয়নি। দিনটি তরুণদের মধ্যে নতুন করে বিবেকানন্দের আদর্শ ও বাণীর প্রচার করার লগ্ন। ফলে এদিন বিবেকানন্দের বাণী নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা হয়। বিশেষ করে ভাবা হয় স্বামীজি আলাদা করে তরুণদের কী বলেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: দেখে নিন জেলায় জেলায় কী ভাবে পালিত হচ্ছে বীরসন্ন্যাসী বিবেকানন্দের জন্মদিন...


সারাজীবন ধরে স্বামী বিবেকানন্দ তরুণদের নানা ভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন, নানা ভাবে তাঁদের উদ্বোধিত করেছেন। তাঁর লেখায়, তাঁর বক্তৃতায়, তাঁর ঘরোয়া আলোচনায় তিনি তরুণদের নানা ভাবে দেশের কাজে নিয়োজিত হওয়ার মন্ত্র শুনিয়েছেন। 


আরও পড়ুন: Prophet Comment Row: প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি, বন্দুকের লাইসেন্স পেলেন নূপুর শর্মা


কিন্তু এরই মধ্যে খুব কৌতূহলোদ্দীপক স্বামীজির বিশেষ একটি উপদেশ। তিনি যুবকদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, গীতাপাঠের চেয়ে ফুটবল খেলা ভালো। 


স্বামীজির এই কথাটি নিয়ে নানা আলোচনা হয়ে গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞের মতো কথাটি থেকে তাঁর প্রকৃত উদ্দেশ্য মোটামুটি যা বেরিয়ে এসেছে তা হল-- ফুটবল খেললে শরীরচর্চা হয়, আর স্বামীজি বিশ্বাস করতেন, একটি শক্তিশালী শরীরেই একটি উন্নত মন বসবাস করতে পারে। শুধু জ্ঞান-বুদ্ধির উন্নতি ঘটল, কিন্তু শরীরে বিন্দুমাত্র শক্তি-উৎসাহ রইল না, তা সামগ্রিক ভাবে ব্যক্তিত্ব বিকাশে অন্তরায়। তাই হয়তো, তিনি তরুণদের গীতা পড়ার থেকে ফুটবল খেলার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে বলেছেন। এর মানে এই নয় যে, তিনি গীতাপাঠকে খারাপ বলছেন, বা তরুণদের গীতা পড়তে নিষেধ করছেন বা তাঁদের তিনি শুধু খেলতেই বলছেন। স্বামীজি আসলে এই দুটি ভিন্ন জিনিসের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করতে বলেছেন, যাতে এক সুস্থসবল ও জ্ঞানবিবেকবান মানুষ তৈরি হয়ে ওঠে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)