নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে সস্তার রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাল রেল ইউনিয়ন। অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন’স ফেডারেশন যেটি ভারতের সবচেয়ে বড় রেল ইউনিয়ন, সোনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি দিয়ে জানায়, স্টেশনে ভিড় এড়াতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভাড়া ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসের এ হেন রাজনীতি রেলের সিস্টেমকে বিঘ্নিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে ওই ইউনিয়ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিব গোপাল মিশ্র চিঠিতে জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য ১১৫ বিশেষ ট্রেন চালু করেছে রেল। রাজনীতির ফায়দা তুলতে এই পদক্ষেপকে যেন বাধা না দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়া গান্ধী জানিয়েছিলেন, রেল পরিযায়ী শ্রমিকদের ভাড়া না দিতে পারলে কংগ্রেস তা মিটিয়ে দেবে। এর জন্য প্রত্যেক রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেসকে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সোনিয়ার এই বার্তা আসার পরই নড়চড়ে বসে রেল।


রেলের তরফে জানানো হয়, মোট ভাড়ার ৮৫ শতাংশ ভর্তুকি দিয়েই পরিযায়ী শ্রমিকদের রেল পৌঁছে দেবে। বাকি ১৫ শতাংশ সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে দেওয়ার কথা বলা হয়। এই সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। অবিজেপি শাসিত বেশ কিছু রাজ্য পুরো ভাড়া দেওয়ার কথা জানিয়ে দেয়।


আরও পড়ুন- সময়মতো লকডাউন না হলে এতদিনে কী হত দেশের হাল? জানুন


প্রথমে রেল এক নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, যে রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ট্রেনে উঠবেন, সেই রাজ্যকে কার্যত সব দায়িত্ব নিতে হবে। টিকিট বণ্টন থেকে ভাড়ার আদায় সব দায়িত্ব ওই রাজ্যকে নিতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে টিকিটের দাম নিয়ে রেলের হাতে দেওয়ার কথা বলা হয়। এই নির্দেশিকায় জোর বিতর্ক তৈরি হয়। তারপরই পিছু হটতে বাধ্য হয় রেল।