সময়মতো লকডাউন না হলে এতদিনে কী হত দেশের হাল? জানুন
এই সংস্থা জানিয়েছে, একজন সংক্রমিত ব্যক্তি গড়ে তিনজনের শরীরের ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন— সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ৩৮ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোজই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ফলে প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের তালিকাটা ঠিক কত বড় হবে, তা এখনও আন্দাজ করা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত দুলাখের বেশি মানুষ ইতিমধ্যে মারা গিয়েছেন। ভারতেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার হয়ে গিয়েছে। যেন আগুনের মতো ছড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই চলছে লকডাউন। ঘরবন্দি থাকা ছাড়া আর কোনও রাস্তা এখন খোলা নেই। কারণ করোনার প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি।
মুম্বইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেস (IIPS) একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, সঠিক সয়ম দেশে লকডাউন না হলে ঠিক কেমন পরিস্থিতি হত এতদিনে! তারা জানিয়েছে লকডাউন না হলে এতদিনে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতেন। মারা যেতেন প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ। এই সংস্থা জানিয়েছে, একজন সংক্রমিত ব্যক্তি গড়ে তিনজনের শরীরের ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। লকডাউনের ফলে এই সংক্রমণের হার কমানো গিয়েছে। এখনও যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা নয়। তবে সংক্রমণের হার এখন অনেকটাই কম। এই সংস্থার প্রধান লক্ষ্মীকান্ত দ্বিবেদি জানিয়েছেন, লকডাউনের উদ্দেশ্যই হল সংক্রমণের হার শূন্যে নামিয়ে আনা। তবে এখনে একজন ব্যক্তির থেকে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়ে আছে ১.১৬। লকডাউন ঠিক মতো পালন করা না হলে এই হার একদিনে বেড়ে যেতে পারে অনেকটা।
আরও পড়ুন— “লকডাউনে রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় গ্যাস লিক,” বিস্ফোরক দাবি বিশাখাপত্তনম পুলিসের
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লকডাউনের জন্যই ভারতে সংক্রমণের হার আট গুণ কমেছে। না হলে গত এক মাসেই দেশে চার লাখের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়ে যেতেন। এপ্রিলে অ্যাক্টিভ সংক্রমিতের সংখ্যাই হত প্রায় আড়াই লাখ। ফলে লকডাউনের পথে হেঁটে আখেরে যে দেশের লাভ হয়েছে তা বলাই যায়।