নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের ব্যবচ্ছেদ করে আরও একটি নয়া তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন নেটিজেনরা। ১৯৮৭-৮৮ সাল নাগাদ ইমেল-এর ব্যবহার! ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরির ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ নরেন্দ্র মোদী নিউজ নেশন-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, “১৯৮৭-৮৮ সালে প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করি। সে সময় খুব কম ইমেল ব্যবহার হতো।” এর পর মোদীর দাবি, লালকৃষ্ণ আডবাণীর সভায় তাঁর একটি ছবি তুলে দিল্লিতে পাঠান। সে সময় নিজের রঙিন ছবি দেখে হতম্ভব হয়ে গিয়েছিলেন আডবাণী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নরেন্দ্র মোদীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো ট্রোলড হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকে দাবি করেন, ইমেল ব্যবহার শুরু হয় নয়ের দশকে। কীভাবে মোদী ইমেল উল্লেখ করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিরোধীরাও বাদ যাননি। কটাক্ষ করে রাজনীতিক শহিদ সিদ্দিকি বলেন, “নর্দমা ও মেঘের গ্যাসের মতোই ডিজিটাল ক্যামেরা, ইমেল আবিষ্কার করেন মোদী, যা রেডারে ধরা পড়ে না।” কংগ্রেস নেতা দিব্যা স্পন্দনা বলেন, ১৯৮৮ সালে কারোর ইমেল আইডি ছিল না। মোদী যদি সে সময় ইমেল ব্যবহার করতেন, তা হলে কাকে ইমেল পাঠাতেন? ইটি (এক্সট্রা টেরেসট্রিয়াল)?


আরও পড়ুন- কনে ছাড়াই বিয়ে করলেন বর! হতবাক আমন্ত্রিত আটশো অতিথি


এ দিনই মেঘ বিতর্কে তুমুল শোরগোল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাক্ষাত্কারে বালাকোট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে যখন পরিকল্পনা চলে, আবহাওয়া তখন খারাপ ছিল। কালো মেঘ আচ্ছান্ন আকাশ। ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। সে সময় অভিযান চালানো সঠিক সিদ্ধান্ত হবে কি না নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। তারিখ পরিবর্তনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মোদীর কথায়, মনের ভিতর দুটো ভাবনা কাজ করছিল। এক, এটি অত্যন্ত গোপনীয়তার বিষয়। সময় পরিবর্তন করা উচিত হবে না। দ্বিতীয়, যাঁরা বিজ্ঞানটা বোঝেন, তাঁদের মধ্যে আমি পরি না। এরপর তিনি পরামর্শ দেন, খারাপ আবহাওয়া তাদের পক্ষে সুবিধাই করবে। পাকিস্তানের রেডারে ভারতের যুদ্ধবিমানকে চিহ্নিত করা যাবে না বলে দাবি নরেন্দ্র মোদীর। শেষমেশ বায়ুসেনাকে অভিযানে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। কটাক্ষ শুরু করেন বিরোধীরা। কংগ্রেস টুইটে লেখে, গত পাঁচ বছরে জুমলা ছড়াচ্ছেন তিনি। আর ভাবচ্ছেন মৌসম খারাপ, মেঘে ঢাকা...এ সব র্যাডারে ধরবে না।