কর্নাটকের মতো ‘মজবুর’ সরকার নয়, ‘মজবুত’ সরকার চায় দেশবাসী: নরেন্দ্র মোদী
এ দিন মোদীর কটাক্ষ, ৫৬ শব্দ শুনলেই না কি ঘুম ছুটে যায় বিরোধীদের! ফের বলেন, মোদী যত ক্ষণ রয়েছে, বন্ধ হয়ে যাবে চোরেদের দোকান
নিজস্ব প্রতিবেদন: এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে এ বার আর বেশি কথা খরচ করলেন না। উন্নয়নকেই হাতিয়ার করে কর্নাটকে বিরোধীদের তুলোধনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এইমস, রেল সম্প্রসারণ-সহ এক ডালি ভোটের উপহার সঙ্গে গত চার বছরের জনমোহনী প্রকল্পের খতিয়ান- এই সবই তুলে ধরে কর্নাটকবাসীর মন জয়ের চেষ্টা করলেন মোদী। সে রাজ্যে কংগ্রেস-জেডিএস-র জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীকে কংগ্রেসের ‘রিমোট কন্ট্রল’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কেন কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প কর্নাটকের প্রান্তিক চাষিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না, প্রশ্ন তোলেন নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস-বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মোদী দাবি করেন, সরাসরি চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে কেন্দ্র। কোনও কাটমানি না মেলায় এই প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে না এ রাজ্যের সরকার। তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যের চাষিদের প্রতি অন্যায় করছে তারা।
আরও পড়ুন- প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে চুরি গিয়েছে রাফালের গুরুত্বপূর্ণ নথি, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র
এ দিন মোদীর কটাক্ষ, ৫৬ শব্দ শুনলেই না কি ঘুম ছুটে যায় বিরোধীদের! ফের বলেন, মোদী যত ক্ষণ রয়েছে, বন্ধ হয়ে যাবে চোরেদের দোকান। এমনই চাঁচাছোলা ভাষায় কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন নরেন্দ্র মোদী। রাহুল গান্ধীকে বিঁধে তাঁর অভিযোগ, এ রাজ্যের চাষিদের সম্পূর্ণ ঋণমুকুব করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কর মুকুব হয়নি। উলটে চাষিদের উপর মামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মোদীর। তাঁর কথায়, আর এক জন সত্ভাবে কাজ করলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাঁর পূর্ণ সরকার। তাই যে কোনও কাজ পূর্ণ না করে ছাড়েন না বলে দাবি মোদীর।
আরও পড়ুন- মধ্যস্থতায় ভিন্ন সুর খোদ বিচারপতিদের, অযোধ্যা মামলায় আপস নয়, বলল হিন্দু মহাসভা
এই মুহূর্তে বেশ টালামাটাল অবস্থা কর্নাটকের সরকারের। বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার বিধায়ক ভাঙার অভিযোগ উঠছে। গতকালই কংগ্রেসের বিধায়ক উমেশ যাদব ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। ২২৫ আসনে কর্নাটকে কংগ্রেস, জেডিএস এবং বিএসপির জোটে ১১৭টি বিধায়ক রয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকার না পড়ার আশঙ্কা থাকলেও সবসময় ত্রস্ত রয়েছেন কংগ্রেস ও জেডিএস নেতৃত্ব। তাই মোদী কটাক্ষ করে ‘মজবুর’ সরকার বলে উল্লেখ করেন। এমনকি মহাজোটের সমালোচনা করে এ বারের নির্বাচনে ‘মজবুত’ সরকার আনার আর্জি জানান তিনি। পাশাপাশি আরও বলেন, এ রাজ্যের মতো কেন্দ্রে ‘মজবুর’ সরকার দেখতে চায় না দেশবাসী।