Pariksha Pe Charcha 2023: পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে তাদের উৎসাহিত করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী! কী অমূল্য উপদেশ তিনি দিলেন...
Pariksha Pe Charcha 2023: পড়ুয়ারাও তাঁর চিন্তার বাইরে নেই। নিজের অতি ব্যস্ত শিডিউল থেকেও তাদের জন্য সময় বাঁচিয়ে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। `পরীক্ষা পে চর্চা`। যা নিয়ে বহুদিন থেকেই বিভিন্ন মহলের আগ্রহ তুঙ্গে। আজ, ২৭ জানুয়ারি অবশেষে অনুষ্ঠিত হল সেই বহু-আকাঙ্ক্ষিত পরীক্ষা পে চর্চা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পড়ুয়ারাও তাঁর চিন্তার বাইরে নেই। নিজের অতি ব্যস্ত শিডিউল থেকেও তাদের জন্য সময় বাঁচিয়ে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানটির পোশাকি নাম 'পরীক্ষা পে চর্চা'। যা নিয়ে বহুদিন থেকেই বিভিন্ন মহলের আগ্রহ তুঙ্গে। আজ, ২৭ জানুয়ারি দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে অবশেষে অনুষ্ঠিত হল সেই বহু-আকাঙ্ক্ষিত পরীক্ষা পে চর্চা। দেশের ৩৮ লক্ষ পড়ুয়া নিজেদের নাম রেজিস্টার করেছেন এখানে। ২০ লক্ষ প্রশ্ন জমা পড়েছে। এই সমস্ত প্রশ্নের মধ্যে থেকেই প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবস সম্পর্কে বিরল এই তথ্যগুলি কি আপনি জানেন?
লম্বা আলোচনা। বহু বিষয় উঠে এসেছে। সব প্রশ্নগুলিই নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নানা মূল্যবান পরামর্শ তিনি দিয়েছেন পড়ুয়াদের। নানা ছোটখাটো জিনিস ধরিয়ে দিয়েছেন, উৎসাহিত করেছেন আর কদিন পরেই বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে চলা পড়ুয়াদের।
নিজের ক্ষমতা বুঝে নিতে হবে:
প্রধানমন্ত্রী পড়ুয়াদের বলেছেন, আগে নিজের ক্ষমতা বুঝে নিতে হবে তার পর সেই অনুযায়ী পড়াশোনা শুরু করো। মাঝারি মানের পড়ুয়ারা কীভাবে ভাল পরীক্ষা দেবেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এক ছাত্রীকে বলেন-- প্রথমেই তোমাকে অভিনন্দন জানাই এই জন্য যে, তুমি বোঝো, তুমি মাঝারি মানের পড়ুয়া। অধিকাংশ মানুষই সাধারণ মানের হন। অসাধারণ মানুষ খুব কমই হন। তবে সাধারণ মানুষও সাধারণ কাজ করে অসামান্য হয়ে উঠতে পারেন। দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদর উদাহরণ দেখলেই তা বোঝা যায়। তবে এজন্য সবার আগে নিজেদের ক্ষমতা বোঝা প্রয়োজন। তারপর নিজের সামর্থ্য় অনুযায়ীই কাজ করা উচিত।
আরও পড়ুন: সুইগিতে স্যানিটারি প্যাড অর্ডার করে যুবতী পেলেন চকোলেট কুকিজও!
বাড়িতে মায়ের কাজ দেখে শিক্ষা নিন:
বাড়িতে সব থেকে বেশি কাজ করেন মায়েরা। যেভাবে মায়েরা সময়ের হিসাব করে সমস্ত কাজ করেন, তা দেখে শেখা উচিত সমস্ত পড়ুয়ার। মায়েরা কখনও ক্লান্ত হন না। যদি একটুও অবসর পান, তাতেও অন্য কোনও কাজ নিয়ে বসে পড়েন। মায়েদের কাজ থেকেই সময়ের মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট শেখা উচিত।
সময়ানুবর্তিতা অত্যন্ত জরুরি:
পড়ুয়াদের সময়ের সঠিক ব্যবহারের কথা মনে করান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন-- শুধু পড়াশোনা বা পরীক্ষায় নয়, জীবনেও সময়ানুবর্তিতা অত্যন্ত জরুরি। কাজ নিয়ে ভাবলেই বরং ক্লান্তি আসবে। তার চেয়ে আগে থেকে বেশি না ভেবে, দ্রুত বরং কাজটা করা শুরু করো। পড়তে বসে কোন বিষয় কতক্ষণ ধরে পড়বে, তা সময় অনুযায়ী ভাগ করে নিতে হবে।
দিনের পড়া শুরু করে শুধুমাত্র পছন্দের বিষয়েই সম্পূর্ণ বা বেশি সময় খরচ করলে চলবে না। পড়তে বসে এটা না করে, প্রথমে বরং অপছন্দের বা কঠিন বিষয়টাই শুরু করো। হয়তো আধ ঘণ্টার জন্য সেটা পড়লে। তারপর পছন্দের বিষয়ের জন্য ২০ মিনিট বরাদ্দ করো। এভাবে পড়লে সব সাবজেক্টই পড়া হয়ে যাবে।