নিজস্ব প্রতিবেদন: আরএসএস সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে নীতীশ কুমার। সম্প্রতি আরএসএস কর্মকর্তার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ শুরু করার নির্দেশিকা জারি করেছে বিহার পুলিস। আর এনিয়েই শুরু হয়েছে বিপুল রাজনৈতিক বিতর্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মৃত্যুদণ্ড আপাতত রদ, কুলভূষণের সঙ্গে যোগযোগের অনুমতি, কূটনৈতিক জয় দেখছে নয়াদিল্লি    


উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিহার পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চ প্রতিটি জেলায় একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গ্রামেগঞ্জে প্রতিটি আরএসএস কর্মীদের ব্যপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। এনিয়ে রাজ্যে বিজেপি নেতাদের দাবি, তুলে নিতে হবে এই নির্দেশিকা।



বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। তিনি বলেন, ‘ওই ধরনের খবর নেওয়া হলে আরএসএস সম্পর্কে একটা ধারনা তৈরি হবে সরকারের।’ তবে রাজ্যের কিছু নেতা নিশানা করেছেন সরাসরি নীতীশ কুমারকেই। তাঁদের দাবি প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সরকার আরএসএসে ওপরে গোয়েন্দাগিরি করছে সরকার।


আরও পড়ুন-কুলভূষণ যাদবের জন্য মাত্র ১ টাকা পারিশ্রমিকে মামলা লড়েছেন হরিশ সালভে


গত ২৮ মে জারি করা হয়েছে ওই নির্দেশিকা। সেটি পাঠানো হয়েছে স্পেশাল ব্রাঞ্চের এসপিদের কাছে। সেখানে বলা হয়েছে আরএসএসের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেক্টটারি, ট্রেজারার, জয়েন্ট সেক্রেটারি পদ যারা রয়েছে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। পাশাপাশি খোঁজ খবর নিতে হবে আরএসএস ঘনিষ্ঠ ১৮ সংগঠনেরও। ওই তালিকায় রয়েছে হিন্দু জাগরণ সমিতি, ধর্ম জাগরণ সমিতি, হিন্দু রাষ্ট্র সেনার মতো সংগঠন।


এদিকে, ওই নির্দেশিকা নিয়ে চাপ বাড়ছে পুলিসের ওপরে। বুধবার বিহারের এডিজি জে এস গাঙ্গওয়ার এক সাংবাদিক সম্মলনে জানান, ওই ধরনের কোনও নির্দেশিকার কথা জানতো না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যিনি ওই নির্দেশিকায় সাক্ষর করেছেন তিনি বর্তমানে ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। এনিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা হবে।