কমলিকা সেনগুপ্ত: গোটা দেশে এনআরসি চালু করার হুঙ্কার দিয়েছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূলের ভোট রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর। তাঁর প্রশ্ন, ১৫টিরও বেশি রাজ্যে অবিজেপি সরকার। তাহলে কীভাবে এটা সম্ভব?    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যসভায় বুধবার এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করেছেন অমিত শাহ। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অসম-সহ গোটা দেশেই অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্ত করতে এনআরসি করা হবে। একইসঙ্গে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খৃষ্ট্রান, জৈনদের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করতে সরকার নাগরকিত্ব সংশোধনী বিল পাশ করাবে। অমিত শাহের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রশান্ত কিশোর। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ''১৫টিরও বেশি রাজ্যে অবিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর শাসন। দেশের ৫৫ শতাংশ জনসংখ্যা রয়েছে ওই রাজ্যগুলিতে। কজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বা রাজি করানো গিয়েছে, তা জানতে চাইছি।''                 



এদিনই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির সভায় মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় এনআরসি হবে না। তাঁর উপরে ভরসা রাখার আবেদনও করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ''এনআরসি নিয়ে কিছু লোক ভয় দেখাচ্ছে। ভরসা রাখবেন। আমদানি করা নেতার কথায় বিশ্বাস করবেন না। সে হিন্দুই হোক, বা মুসলমান হোক। আমরা যারা মাটিতে থেকে লড়াই করি, আপনাদের পাশে আছি। এনআরসি হবে না। মাথায় রাখুন। চিন্তার কারণ নেই। আপনারা এদেশের নাগরিক। একটাও লোককে বিতাড়িত করতে দেব না।''


এনআরসি হলে হিন্দুদের স্বার্থও যে সুরক্ষিত হবে না, তাও জানিয়ে দেন মমতা। তাঁর কথায়, ''একটাও হিন্দু বাদ পড়বে না। অসমে ১৪ লক্ষ হিন্দু বাঙালিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মুসলিমদের নামও রয়েছে। নাম রয়েছে পাহাড়িদের। রাজবংশীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা সব ডিটেনশন ক্যাম্পে আছে। বাংলায় এসব হবে না। এটা মানবিকতার জায়গা। মানুষের জায়গা। সভ্যতার জায়গা। শিক্ষার জায়গা। সংস্কৃতির জায়গা ভয় পাবেন না।''


আরও পড়ুন- চিন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের সুযোগে ৩২৪টি কোম্পানিকে দেশে টানার ছক মোদী সরকারের