অনিলের ‘মিডলম্যান’ মোদী, ফের নয়া তথ্য প্রকাশ্যে এনে বিস্ফোরক রাহুল
অনিল অম্বানীর সংস্থা রিলায়্যান্স ডিফেন্সের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়, রাফাল সংক্রান্ত বিষয়ে অনিলের এই সফর ছিল না
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের আরও একটি প্রমাণ! রাফাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শানাতে মঙ্গলবার বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বিমানপ্রস্তুতকারী সংস্থা এয়ারবাসের এক কর্মচারির ইমেলের প্রতিলিপি দেখিয়ে রাহুল গান্ধী এ দিন দাবি করেন, রাফাল চুক্তি হওয়ার আগেই ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন অনিল অম্বানী। যে চুক্তি নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশসচিব অবগত ছিলেন না, সেখানে অনিল অম্বানী কীভাবে জানালেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাহুল।
আরও পড়ুন- দিল্লি অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে দাঁড়াল ১৭, এখনও আটকে বহু, চলছে উদ্ধারকাজ
আজ সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধীর দাবি, ২০১৫ সালে মার্চে প্যারিসে ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিন-ইভস লে দ্রিয়ানের দফতরে গিয়ে বৈঠক করেন অনিল অম্বানী। সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যান তিনি। অনিলের বৈঠকে ১০ দিন পর এপ্রিলের ৯-১০ তারিখে ফ্রান্স সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই ফ্রান্সের সরকারের সঙ্গে ৩৬টি রাফাল কেনা চুক্তি হয় ভারতের। রাহুল প্রশ্ন তুলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফরের আগেই কীভাবে অনিল অম্বানী বৈঠক করেন সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে? রাহুলের অভিযোগ, গোটা বিষয়টি পরিকল্পনামাফিক এবং পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর গোচোরে ছিল। তিনি অনিল অম্বানীর ‘মিডল ম্যানের’ কাজ করছেন বলে কটাক্ষ কংগ্রেস সভাপতির।
অনিল অম্বানীর সংস্থা রিলায়্যান্স ডিফেন্সের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়, রাফাল সংক্রান্ত বিষয়ে অনিলের এই সফর ছিল না। ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা নোটিস অনুযায়ী নাভাল ইউটিলিটি হেলকপ্টার চুক্তি সম্পর্কে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনা চলে। এয়ারবাসের চিঠি অনুযায়ী, ফরাসি প্রতিরক্ষা কর্তাদের কাছে কপ্টার এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির জন্য এয়ারবাস হেলকপ্টার্সের সঙ্গে অনিল অম্বানী কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরে রাফাল নিয়ে চুক্তি হতে চলেছে, এমন আগাম ইঙ্গিতও দিয়ে রাখেন অনিল অম্বানী।
আরও পড়ুন- রাজস্থানে সোয়াইন ফ্লুতে মৃত বেড়ে ১১২, আক্রান্ত আরও প্রায় ৭৯
রাহুল গান্ধীর নয়া অভিযোগ খারিজ করে দেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, রাহুল প্রতিযোগী যুদ্ধবিমান সংস্থার হয়ে কাজ করছেন। এয়ারবাসের ইমেল তিনি কীভাবে পেলেন? প্রশ্ন করেন রবিশঙ্কর। ইউপিএ জমানায় এয়ারবাস সংস্থাই তদন্তের স্ক্যানারে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর।