দিল্লি অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে দাঁড়াল ১৭, এখনও আটকে বহু, চলছে উদ্ধারকাজ
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একাধিক মন্ত্রী-সহ দিল্লি প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন অভিযোগ করেন, হোটেলের সর্বোচ্চ দুটি তল বেআইনিভাবে তৈরি হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতার বাগরি কাণ্ডের ছায়া দিল্লির কারোল বাগে। সেখানকার ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত অর্পিতা হোটেলে ভোর ৪ নাগাদ আগুন লাগে। তখন কার্যত নিদ্রায় ডুবে ছিল গোটা এলাকা। বেসমেন্ট থেক দ্রুত আগুন ছড়ায় ওই ভবনের অন্যান্য তলে। খবর মিলতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২৪টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন দমকল, পুলিস ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৭ জনের। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫ জনকে। তাঁদের নিকটস্থ রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- লোকসভার প্রচারে বিজেপির নয়া কৌশল, ৫ কোটি বাড়িতে উড়বে পদ্ম-পতাকা
কারোল বাগের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শোকবার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তিনি লেখেন, দিল্লির কারোল বাগের মর্মান্তিক ঘটনায় ব্যাথিত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরাগ্য কামনা করছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই সাদা বিল্ডিংয়ে আগুন লাগার পর প্রাণ বাঁচাতে সন্তানকে নিয়ে ঝাঁপ দেন এক মহিলা। ঘটনাস্থলে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় পুলিস। বাকিদের অধিকাংশই শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একাধিক মন্ত্রী-সহ দিল্লি প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন অভিযোগ করেন, হোটেলের সর্বোচ্চ দুটি তল বেআইনিভাবে তৈরি হয়েছে। ওই হোটেলের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ নয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। গাফিলতির প্রমাণ মিললে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দেন দিল্লির ওই মন্ত্রী। তাঁর কথায়, জেলা শাসকের তরফে ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হোটেলের এক কর্মী জানিয়েছেন, ওই হোটেলে আগুন লাগার সময় ১৫০ মানুষ ছিলেন।
আরও পড়ুন- কখন বলতে হয়, কখন নীরব থাকতে হয় জানতেন অটলজি : মোদী
সম্প্রতি বিভিন্ন মেট্রো শহরে একাধিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছেন দেশবাসী। ২০১৭ সালে মুম্বইয়ে অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। বাগরি অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতিও এখনও ফিকে হয়নি। কোনও প্রাণহানির খবর না থাকলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও তার ব্যাপকতা ছিল নজিরবিহীন। এই সব ঘিঞ্জি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের পিছনে বরাবারই যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব এবং গাফিলতির অভিযোগ উঠে এসেছে।