নিজস্ব প্রতিবেদন: বাবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেল ছেলে। এমন ঘটনার কথা শোনা গেলেও হত্যাকারী বাবা ছোটা সিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও ভয়ঙ্কর। তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল তার বৌমার সঙ্গে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন তিব্বতে বিমানবন্দর বানাচ্ছে চিন


মঙ্গলবার রাতে ফরিদকোট জেলার ডাবরি খানা গ্রামে ৬২ বছরের ছোটা সিং ছেলে রাজবিন্দর সিংকে(৪০) ধারাল অস্ত্র দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে। এদিন রাজবিন্দর সিং নিজের ঘরে ঘুমাচ্ছিল। সে সময় তার ঘরে ঢুকে ওই ভয়ঙ্কার কাণ্ড ঘটায় ছোটা।


খুনের পর রাজবিন্দরের দেহাংশ একটি পলিথিন ব্যাগে ভরে তা নর্দমায় ফেলে দেয়। পুলিস সূত্রে খবর, ছোটা যখন ছেলের কাটা দেহাংশ বাড়ির পাশের নর্দমায় ফেলতে যায় তখন তা দেখে ফেলে তার ভাইপো গুরুচরণ। ছোটার হাতে রক্ত দেখে গুরুচরণের সন্দেহ হয় খুন করা হয়েছে রাজবিন্দরকে। ছোটাকে ধরে সে পুলিসের হাতে তুলে দেয়।


নিহত রাজবিন্দরের বড়ভাই রাজবীর পুলিসকে জানিয়েছেন, ১২ বছর আগে যশবীর কৌরকে বিয়ে করে রাজবিন্দর। তাদের ২ সন্তানও রয়েছে। যশবীরের সঙ্গে ছোট সিংয়ের সম্পর্কে নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই প্রবল ঝগড়াঝাঁটি হতো।


আরও পড়ুন-রাজ্যের মানুষের অসুবিধা-অভিযোগ সরাসরি ফোনে শুনবেন প্রধানমন্ত্রী, অভিনব উদ্যোগ বিজেপির


পুলিস আরও জানিয়েছে, মাস দুয়েক আগে ফরিদকোটে যশবীরের জন্য এক ঘর ভাড়া নিয়েছিল ছোটা। তার উদ্দেশ্য ছিল যশবীরকে বিয়ে করা। ছোটাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুন, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি নিহত রাজবিন্দর সিংয়ের দেহ ময়না তদন্তের পর তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।