নিজস্ব প্রতিবেদন: আবারও বিপ্লব! যে তদন্তের কিনারা এখনও সিবিআই করে উঠতে পারেনি, সেই নোবেল চুরির রহস্য এবার খোলসা হল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে। চুরি যাওয়ার আগেই নোবেল নাকি ব্রিটিশদের ‘ফেরত্’ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! এমনটাই মন্তব্য করে আবারও বিতর্কে জড়ালেন বিপ্লব দেব। উদয়পুরে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এক বক্তৃতায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন,  ব্রিটিশ শাসনের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ তাঁর নোবেলটি  ফেরত্ দিয়ে দেন। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটি ভাইরাল হয়ে গেছে। আর তার সঙ্গে চলছে বেলাগাম রসিকতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ শুনানির পরও আধার ফয়সলা অধরা


২০০৪ সালে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর জাদুঘর থেকে চুরি যায় রবীন্দ্রনাথের নোবেল। নোবেল চুরির রহস্য উদঘাটন করতে এরপর সিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই নোবেল উদ্ধার করা যায়নি। উল্লেখ্য, ১৯১৩ সালে এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসাবে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


আরও পড়ুন- কেএম জোসেফকে নিয়ে চেলামেশ্বরের পত্রবোমার পরই কলেজিয়ামের বৈঠকের সিদ্ধান্ত


তবে, বিপ্লবের ‘নোবেল ফেরত্’ মন্তব্যের সঙ্গে রবি ঠাকুরের নাইট উপাধি ত্যাগের মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ মজা করে বলছেন, গুলিয়ে ফেলেই আসলে বিপ্লব ঘটিয়েছেন তিনি। তবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এমন বেফাঁস মন্তব্য এই প্রথম বার নয়। এর আগেও বহুবার ‘বিপ্লব’ ঘটিয়েছেন তিনি। একবার প্রকাশ্য জনসভায় বিপ্লব বলেন, “সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরই সিভিল সার্ভিসে যাওয়া উচিত। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের নয়।” এখানেই শেষ নয়, ডায়ানা হেডেনের বিশ্বসুন্দরী হওয়া নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, মহাভারত যুগেও ইন্টারনেট ব্যবস্থা ছিল। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই জন্মান্ধ ধৃতরাষ্ট্রকে কুরুক্ষত্রের ধারাবিবরণী দিয়েছিলেন সঞ্জয়।



আরও পড়ুন- গুগল ও ওয়াইফাই বদলে দিয়েছে জীবন, সাফল্যের কাহিনি শোনালেন কেরলের কুলি


বিপ্লবের এমন ধারাবাহিক বেফাঁস মন্তব্যে কার্যত বিপাকে পড়েছে বিজেপি। তাঁর মুখে কুলুপ আঁটতে তাই তড়িঘড়ি সমন জারি করেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। তবে, বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন, কুলুপ আর আঁটতে পারলেন কই! এ বারও যে মুখ ফসকে গেল... 


আরও পড়ুন- কর্ণাটকে জোর টক্করে সামান্য এগিয়ে কংগ্রেস, ইঙ্গিত সমীক্ষার