নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীর নিয়ে বুধবার রাহুল যে টুইট করেছেন, যারপরনাই অবাক হয়েছেন বিজেপি নেতারা। এত দিন তাঁরা কটাক্ষ করে বলতেন, পাকিস্তানের সুরেই কথা বলছেন রাহুল গান্ধী! কিন্তু আজ রাহুল তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে জানান, কাশ্মীর সমস্যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে তৃতীয় পক্ষের নাক গলানোর কোনও জায়গা নেই। রাহুলের এই মন্তব্যে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, রাহুলের কাঁচা বুদ্ধি কংগ্রেসকে বিপদে ফেলেছে। এখন কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, তাঁরা ভুল পথে চালিত হয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের পরই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে কংগ্রেস। রাহুল-সনিয়ার মতো শীর্ষ নেতৃত্ব কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়াকে অগণতান্ত্রিক বলে কটাক্ষ করেন। কাশ্মীরে মানুষের ‘মানবাধিকার’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাহুল। যদিও কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। এতে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে।


আরও পড়ুন- ইয়েচুরিকে তারিগামির সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি, অক্টোবরে ৩৭০ মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ


রাহুল গান্ধীর এ দিনের মন্তব্যে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিংকেও। তিনি কটাক্ষ সুরে বলেন, ডিসপেনসরি থেকে ব্যান্ড-এইড চুরি করে এখন ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাহুল। কংগ্রেসের মুখপত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাকেও একহাত নেন কেন্দ্রীয় পশুপাল, ডেয়ারি ও মত্সপালন বিষয়ক মন্ত্রী। সুরজেওয়ালা অভিযোগ করেছিলেন, রাহুলের নাম নিয়ে কাশ্মীর বিষয়ে রাষ্ট্র সঙ্ঘে অভিযোগ জানাচ্ছে পাকিস্তান।


প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির এ হেন টুইটে যারপরনাই খুশি কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। কাশ্মীর নিয়ে তাঁর বেশ কিছু মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলে কংগ্রেসকে। কিন্তু রাহুল গান্ধীর এমন টুইট দেখে তিনি বুঝিয়ে দিলেন এতদিন হয়ত সেই কথাই বলার চেষ্ট করছেন। শশী থারুর বলেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাকিস্তানকে এর জন্য সুবিধাজনক জায়গা করে দেওয়া উচিত হবে না। তবে, শশী থারুর এ-ও বলেন, যে পদ্ধতিতে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করা হয়েছে তা অগণতান্ত্রিক।