ইয়েচুরিকে তারিগামির সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি, অক্টোবরে ৩৭০ মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ

আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে কোনও ভারতীয়র কাশ্মীরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। 

Updated By: Aug 28, 2019, 11:37 AM IST
ইয়েচুরিকে তারিগামির সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি, অক্টোবরে ৩৭০ মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের মামলা অক্টোবরে শুনবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। সম্ভবত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মামলাটির শুনানি করবে ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। এদিন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে দলের প্রাক্তন বিধায়ক ইউসুফ তারিগামির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে কোনও ভারতীয়র কাশ্মীরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। 

গত সপ্তাহে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বিরোধীদের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। দলের ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, সেরাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ। তবে প্রতিনিধিদলকে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠিয়ে দেয় জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এই আশঙ্কায় ফেরত পাঠানো হয় তাদের। 

 

এর পরই সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামি বেপাত্তা বলে অভিযোগ তোলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তারিগামির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এদিন সেই মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, কাশ্মীরে যেতে পারবেন সীতারাম ইয়েচুরি। দেখা করতে পারবেন ইউসুফ তারিগামির সঙ্গেও। তবে সেখানে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি। তেমন কিছু করলে তা আদালত অবমাননা বলে গ্রাহ্য হবে। তারিগামির সঙ্গে দেখা করার পর তিনি কেমন আছেন তা আদালতকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। 

এদিন ইয়েচুরির আবেদনের বিরোধিতা করে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, 'কাশ্মীরের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেখানে শুধু আত্মীয়দেরই যেতে দেওয়া উচিত।' কিন্তু সেই আর্জি শোনেনে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জবাবে আদালত জানায়, 'একজন ভারতীয় নাগরিকের ইচ্ছামতো দেশের যে কোনও অংশে যাওয়ার অধিকার রয়েছে।' 

ইতিহাস মনে করাল চিন, এটা ১৯৬২ সাল নয়, পাল্টা দিল ভারতীয় সেনা

গত ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিশেষাধিকার প্রত্যাহার করে ভারত সরকার। জম্মু - কাশ্মীর ও লাদাখকে ২টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেয় তারা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে অন্তত ১৪টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে ২টি হেবিয়াস করপাস। 

এছাড়া উপত্যকায় সংবাদমাধ্যমের গতিবিধির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। 

.