ওয়েব ডেস্ক: "কংগ্রেস কোনও প্রতিশ্রুতি দেয় না। নিজেদের মার্কেটিংও করে না। ক্ষমতায় থাকলে কংগ্রেস মানুষের স্বার্থে কাজ করে। কংগ্রেস কথায় বিশ্বাস করে না। আমরা এখানে এসেছি মানুষের কথা শুনতে, তাদের সমস্যা সমাধান করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য", গুজরাট ভোটে 'কংগ্রেস আদর্শ'কে সামনে রেখে এভাবেই প্রচার শুরু করলেন রাহুল গান্ধী। উল্লেখযোগ্য ভাবে কংগ্রেস এবার গুজরাট ভোটে তাদের প্রচার শুরু করল নর্মদা জেলার সংখ্যালঘু গ্রাম দেদিয়াপাড়া থেকে। আর এই জনসভা থেকেই কংগ্রেসের স্পষ্ট 'ইঙ্গিত', গুজরাটে তাদের টার্গেট সংখ্যালঘু উপজাতি ভোট। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গুজরাটে বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকেই। গুজরাটে এখনও পর্যন্ত মোট ১৮২টি বিধানসভা আসন রয়েছে যার মধ্যে ২৭টি আসন উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। কংগ্রেস চাইছে উপজাতিদের এককাট্টা করেই গুজরাট ভোটে বিজেপিকে কড়া টক্কর দিতে। তাই কংগ্রেসের প্রচার শুরু হল উপজাতি গ্রাম থেকেই আর কংগ্রেস সহ-সভাপতি অস্ত্র হিসেবেও বেছে নিলেন উপজাতিদের প্রতি 'বিজেপি সরকারের বঞ্চনা'।


"গুজরাট এখন ১০-১৫ জনের কথায় চলে। আপনারা তাদের সবার নামই জানেন। মোদী ঘনিষ্ঠরাই গুজরাটের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। এই জমি, এই জল, এই অরণ্য সব আপনাদের অধিকার। গুজরাটের সব উপজাতিদেরই অধিকার আছে এইসব কিছুতে। যারা এই রাজ্য চালাচ্ছে এবং আধিপত্য দেখাচ্ছে এখানে তাদের কোনও অধিকারই নেই", দেদিয়াপাড়ায় জনসভায় উপজাতিদের সামনে এই বক্তৃতাই করেন রাহুল গান্ধী। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে খোঁচা দিয়ে রাহুল এও বলেন, "আরএসএস এবং বিজেপি কখনই উপজাতিদের সম্মান করেনি। তারা সবসময়ই উপজাতিদের দাস করে রাখতে চেয়েছে"। 


তবে এই একরোখা 'মোদী নিন্দা'য় যে ভোট ব্যাঙ্ককে কংগ্রেসের সপক্ষে আনা যাবে না, সেটা বিলক্ষণ বুঝেছেন রাহুল গান্ধী। তাই একদিকে যেমন মোদী-অমিত শাহকে বিঁধেছেন তেমনই গুজরাটের কৃষকদের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে রাহুল গান্ধীর মুখে। "গুজরাটের কৃষক এবং মহিলারা আমুল মিল্ক মুভমেন্ট করেছেন। গুজরাটের উন্নয়নের জন্য তাদের পরিশ্রম এবং সৎ প্রচেষ্টা অনস্বীকার্য। এখন নিউজিল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়াও গুজরাট আমুলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবে না। আর এই সবটাই সম্ভব হয়েছে কংগ্রেসের আদর্শের জন্য", 'মোদীগড়ে' এই বক্তব্যই রেখেছেন কংগ্রেসের 'যুবরাজ' রাহুল। 


গুজরাট ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই ছক কষে ফেলেছেন অমিত শাহও। কংগ্রেস তো নয়ই, কোনও বিরোধীই যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেই রণকৌশলই তৈরি করেছেন বিজেপি সভাপতি। একদিকে বিজেপি সরকারের কাজ, অন্যদিকে 'মোদী ম্যাজিক', এই দ্বিফলায় অলআউট অ্যাটাকে নামবে বিজেপি। গুজরাট ভোটে বরাবর ফ্যাক্টর হওয়া 'প্যাটেল সম্প্রদায়ের ভোট' নিয়েও আলাদা ব্লু প্রিন্ট তৈরি রেখেছেন শাহা। তাই সাম্প্রতিক সময়ে গুজরাট সরকারের অস্বস্তির কারণ হার্দিক প্যাটেলকেও বাগে আনার চেষ্টাও শুরু করেছে বিজেপি শিবির। এমন অবস্থায় ভোটের রাজনীতিতে মুখ থুবড়ে পড়া কংগ্রেস গুজরাটে কতটা সুবিধা করে উঠতে পারে এনিয়ে সংশয় রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মধ্যেই।