নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় দেখা গিয়েছিল বিরল এক দৃশ্য। অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কের মধ্যে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণের পর প্রধানমন্ত্রীকে গিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপাতির ওই আচরণের সমালোচনা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। এবার রাজনাথের নিশানায় কংগ্রেস সভাপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'আল ফাল' মিথ্যা বলেছেন অমিত শাহ, আইনি পদক্ষেপের হুমকি তৃণমূলের


শনিবার মেরঠের এক সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং রাহুলের ওই কাণ্ডকে ‘চিপকো আন্দোলন’ বলে ঠেস দেন। রাজনাথ বলেন, ‘‌দলের সভাপতি হয়ে ‌যিনি সংসদের ম‌র্যাদা রাখতে পারেন না তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। দেশবাসী প্রধানমন্ত্রীকে ভলোবাসেন। রাহুল তা সংসদে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে উনি চিপকো আন্দোলনের সূচনা করেছেন।’


অনাস্থা বিতর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে বিরোধীদের একহাত নেন রাজনাথ। বলেন, ‌যাদের হাতে লড়াই করার মতো লোকজনই নেই তারাই অনাস্থা ডেকে দেন। আশ্চ‌র্যের বিষয়।


উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই ওই বিতর্কে একপ্রকার নাটক করে ফেলেন রাহুল গান্ধী। এদিন গণধোলাইয়ে মৃত্যু থেকে রাফালে চুক্তি। এদিন মোদী সরকারের উদ্দেশে চরম আক্রমণ শানান রাহুল। রাহুলের বক্তব্যের মধ্যে চরম শোরগোল শুরু হলে অধিবেশন কিছুক্ষণের জন্য মুলতুবি করে দেন স্পিকার। 


আরও পড়ুন-দুর্গা বিসর্জন, সরস্বতী পুজোয় ফের বাধা দিলে নবান্নের এক একটা ইট ধসিয়ে দেব, হুঙ্কার অমিতের 


রাহুল বলেন, দেশের কৃষকদের কথা শ্রমিকদের মনের কথা প্রধানমন্ত্রী শুনতে পান না। প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত ধনীদের নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বছরে ২ কোটি চাকরি দেবেন। কোথায় চাকরি? প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য  করে রাহুল বলেন, প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কোথায় সেই টাকা। রাহুলের দাবি, কৃষকের বদলে ধনকুবেরদের ঋণ মকুব এই সরকারের অগ্রাধিকার।


এর পরই বিরোধী আসন থেকে উঠে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জড়িয়ে ধরেন রাহুল গান্ধী। প্রাথমিক ভাবে রাহুলের এহেন আচরণে প্রধানমন্ত্রী কিছুটা হকচকিয়ে যান। মুহূর্তে সামলে নিয়ে পালটা রাহুলের সঙ্গে হাত মেলান মোদী।