নিজস্ব প্রতিবেদন: ম্যানগ্রোভ কেটে বুলেট ট্রেন চাই না, দাবি উঠেছিল দেশজুড়ে। এ বার সেই দাবি মেনে সিদ্ধান্তে বদল আনল রেল কর্তৃপক্ষ। ম্যানগ্রোভ অরণ্য যথাসম্ভব বাঁচিয়েই এগোবে কাজ। প্রয়োজনীয় বদল আনা হবে থানে স্টেশনের নকশাতেও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার জাতীয় দ্রুত গতি রেল কর্পোরেশন লিমিটেড জানায়, বন্যপ্রাণ এবং অরণ্য রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়েছে। অরণ্য দফতরের সকল শর্ত মেনেই কাজ হবে। ম্যানগ্রোভ অরণ্য বাঁচাতে বেশ কিছু প্রস্তাব দেয় পরিবেশ মন্ত্রক। থানে স্টেশনের নকশায় প্রয়োজনীয় বদল আনতে রেলকে নির্দেশ দেয় পরিবেশ মন্ত্রক।  এনএইচআরসিএল-এর কর্তা আঁচল খারে জানান, নতুন ডিজাইনে থানে স্টেশনের অবস্থান একই থাকছে। জাপানের বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে স্টেশনের নকশায়। নতুন নকশায় ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ক্ষতি কমবে অনেকটাই।


আরও পড়ুন-  মৃত পেহলু খানের বিরুদ্ধেই ‘চার্জশিট’ তৈরি করল গেহলটের পুলিস



থানে স্টেশনের নতুন নকশায় পার্কিং এরিয়া ও যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় অংশগুলিকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এর ফলে মূল স্টেশনের অবস্থান থাকছে একই। পুরানো নকশায় প্রায় ৫৩,০০০ গাছ কাটা পড়ত। নতুন নকশায় প্রায় ২১,০০০ গাছ কম কাটা পড়বে। আগে যেখানে ১২ হেক্টর অরণ্য ক্ষতিগ্রস্থ হত, এখন সেখানে ক্ষতি হবে ৩ হেক্টর।


আরও পড়ুন-  বিহারে শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ ‘অ্যাসবেসটস ঘর’! রিপোর্ট দিল্লি এইমস-এর


শুধু তাই নয়। কাটা পরা প্রতিটি ম্যানগ্রোভ গাছের জন্য বসানো হবে পাঁচটি নতুন গাছ। রেলের ক্ষতিপূরণের অর্থে সেই কাজ করবে ম্যানগ্রোভ সেল। নতুন নকশায় কাটা পড়বে ৩২,০৪৪ টি গাছ। তার বদলে ১,৬০,০০০ টি নতুন গাছ বসানো হবে। 


চলতি সপ্তাহের শুরুতে মহারাষ্ট্রের পরিবহন মন্ত্রী দিবাকর রাওতে জানিয়েছিলেন, বুলেট ট্রেন প্রকল্পে কাটা পড়ছে প্রায় ৫৪,০০০ টি ম্যানগ্রোভ গাছ। মুম্বাই-আমেদাবাদ দ্রুতগতি রেল করিডর তৈরি করতেই এই বিপুল অরণ্য ধ্বংস হবে বলে জানান তিনি। তাঁর এই বিবৃতির পরেই দেশজুড়ে নিন্দার তোলেন পরিবেশপ্রেমীরা। পরিবেশ মন্ত্রকের তরফেও থানে স্টেশনের নকশা পূণর্বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পরেই অরণ্যে রক্ষায় তত্পর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রেল।