দলে স্বাগত সচিন, প্রধানমন্ত্রী উচিত এই `তামাশা` এবার বন্ধ করা: গেহলট
দিন যত এগোচ্ছে ততই সুর নরম করছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে, সচিন ও বিদ্রোহী ১৮ বিধায়কের বিধায়কপদ খারিজের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছিলেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: সচিন ঝড়ে বিপর্যস্থ গেহলট। এখন আস্থাভোটের নাম মুখে নেই। এবার বারবার সচিন পাইলট ও দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের ফেরানোর কথা বলছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। পাশাপাশি রাজ্যে রাজনৈতিক সংকটের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকেই নিশানা করতেও ছাড়েননি তিনি। আগেই অবশ্য গেহলট দাবি করেছেন, রাজ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-রাস্তায় যেখানে সেখানে পড়ে নার্সিংহোমে ব্যবহৃত মাস্ক-গ্লাভস-পিপিই, বিক্ষোভ বেহালায়
শনিবার জয়সলমিরে অশোক গেহলট বলেন, রাজ্যে যা চলছে তা থামামো উচিত প্রধানমন্ত্রী মোদীর। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীজির উচিত এই 'তামাশা' বন্ধ করা। রাজ্যে এখন বিধায়ক কেনাবেচার দর খুব বেশি। বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে তা আরও বেড়ে যাবে।
উল্লেখ্য, দল ভাঙানোর ভয়ে কাঁটা গেহলট তাঁর অনুগত বিধায়কদের জয়সলমিরের এক হোটেলে প্রায় বন্দি করেই রেখেছেন। দাবি করেছেন তাঁর হাতে রয়েছে ১০১ জন বিধায়ক। শনিবারও গেহলট সাংবাধিকদের বলেন, কংগ্রেস হাইকমান্ড যদি বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের ক্ষমা করে তাহলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। সচিন সহ অন্যান্য বিধায়কদের তিনি স্বাগত জানাতে তৈরি।
প্রসঙ্গত, দিন যত এগোচ্ছে ততই সুর নরম করছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে, সচিন ও বিদ্রোহী ১৮ বিধায়কের বিধায়কপদ খারিজের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছিলেন। পরে আদালতে ধাক্কা খেয়ে ৩১ জুলাইয়ে বিধানসভা অধিবেশেন ডাকার চেষ্টা করেন। সেখানেও রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছ খুব একটা সুবিধে করতে পারেননি। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, ওই অধিবেশনে করোনা সম্পর্কিত একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে সচিনের বিপাকে ফেলার চেষ্টা করবেন গেহলট। এখন, তাঁর পাশ থেকে ৬ বসপা বিধায়ক সরে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফলে এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তিনি।
আরও পড়ুন-রাজপরিবারে চলল গুলি, মল্ল রাজবাড়ির ভিতরই মিলল রাজার গুলিবিদ্ধ দেহ! জোর চাঞ্চল্য
শনিবার জয়সলমিরে গেহলট বলেন, আমাদের মধ্যে এখন আর কোনও বিবাদ নেই। গণতন্ত্রে সংঘাত থাকেই। তা বলে কোনও সরকারকে উত্খাত করা যায় না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের পদত্যাগ করা উচিত। সঞ্জীবনী কোঅপারেটিভ সোসাইটির দুর্নীতিতে ওঁর নাম জড়িয়েছে। এখন আর ওঁর মন্ত্রী থাকার কোনও নীতিগত অধিকার নেই। ঘোড়া কেনা বেচার চক্রান্তে নেমেছ বিজেপি। ওরা এখন রক্তের গন্ধ পেয়েছে। ওরা কর্ণাটকে ওই কাজ করেছে, মধ্যপ্রদেশে একই জিনিস করেছে। এবার এখানে তা করার চেষ্টা করছে।