নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকালও নয়া ৩ কৃষি আইন নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্যসভা (Rajya Sabha)। আজ ফের সংসদের অধিবেশন শুরু হতে না হতেই কৃষি আইন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। নয়া আইনে বিরোধিতায় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন আম আদমি পার্টি (AAP)-এর ৩ সাংসদ। চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু প্রথমে এ ব্যাপারে ওই ৩ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ, এনডি গুপ্ত এবং সুশীল গুপ্তকে সাবধান করেন। কিন্তু তাতেও উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় কিছুক্ষণ পর ওই ৩ সাংসদকেই সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান। ২৫৫ ধারা মোতাবেক সাসপেন্ড করা হয় তাঁদের । 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন ফোন ব্যবহার করা নিয়েও বিশৃঙ্খলা শুরু হয় রাজ্যসভায়। অধিবেশন চলাকালীন অনেকেই সেটি মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করছেন বলে সতর্ক করেন চেয়ারম্যান। এই ধরনের কাজকে সংসদীয় শিষ্টাচার বিরুদ্ধ বলেও মন্তব্য করেছেন নায়ডু।


আরও পড়ুন: ভিনধর্মে বিয়ের বিরোধী আইন চালু করার পরিকল্পনা নেই, জানাল কেন্দ্র


শুক্রবার সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। দফায় দফায় কৃষক আন্দোলনের আঁচ এসে পড়ে রাজ্যসভাতে (Rajya Sabha)। গতকাল রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন বসতেই বিরোধী দলগুলির তরফে একটি মুলতুবি প্রস্তাব দেওয়া হয়। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, ডিএমকে-সহ একাধিক দলের তরফে এই মুলুতুবি প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিরোধী দলগুলির আনা মুলতুবি প্রস্তাবে দাবি ছিল যে, রাজ্যসভায় অবিলম্বে কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে দেন চেয়াম্যান ভেঙ্কাইয়া নায়ডু। 


এরপর জানান, আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনা শুরু হবে। তখন প্রত্যেক বিরোধী দল-ই এই নিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশের সুযোগ পাবে। যদিও নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে বিরোধী দলগুলি। স্লোগান দিতে শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। ওয়াক আউট করেন রাজ্যসভা থেকে। পরে ফের রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) ফিরে এলেও, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। এরপরই কিছুক্ষণের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান। 


আজ অধিবেশন শুরু হতেই কৃষি আইনের বিষয়টি তুলে ধরেন বিরোধীরা। কৃষক আন্দোলন নিয়ে এই পরিস্থিতির সমাধানে ৫ ঘণ্টার আলোচনা দাবি করে ১৬টি বিরোধী দল। সরকার সম্মতি দেয়। তবে এর কিছুক্ষমের মধ্যেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের পর কৃষকদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে, তখনই ফের প্রতিবাদ জানান আপ-এর ৩ সাংসদ। তাঁরা সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন। নায়ডু তাঁদের সাবধান করে ২৫৫ নম্বর আইন আরোপ করে সাসপেন্ডের হুঁশিয়ারি দেন।  কিন্তু তারপরেও সংসদের ভিতরে শোরগোল করায় ওই ৩ আপ সাংসদকে সাসপেন্ড করেন নায়ডু।