মজুতের কোনও সীমা রইল না আলু-পেঁয়াজের মতো পণ্য, সংসদে পাস Essential Commodities Bill
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য না হওয়ার দরুন ওইসব পণ্য মজুতের ক্ষেত্রে কোনও সীমা থাকল না। অর্থাত্ ব্যবাসায়ী ও মজুতকারীরা সুবিধে পাবেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভাতে ১৫ সেপ্টেম্বরই পাস হয়েছিল। এবার সংখ্যার জোরে রাজ্যসভা থেকেও Essential Comodities Amendment Bill 2020 পাস করিয়ে নিল সরকার। জুন মাসে বিলটি অধ্যাদেশ আকারে আনে সরকার। রাজ্যসভায় সরকারের বাড়তি পাওনা একটাই, বিরোধীরা সভা ছাড়ায় এনিয়ে কোনও হাল্লাবোল হল না।
আরও পড়ুন-বরখাস্ত সাংসদের চা খাওয়ালেন হরিবংশ, বিহার-প্রসঙ্গ তুলে 'গরু রচনা' প্রধানমন্ত্রীর
বিরোধীরা মোট তিনটি বিল নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। তার মধ্যে ছিল এটি। রবিবার দুটি বিল পাস হয়েছে। তৃতীয়টি পাস হল আজ। এর ফলে আলু, পেঁয়াজ, ডালের মতো খাদ্যপণ্য আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় রইল না।
ডাল, আলু, পেঁয়াজের মতো রোজকার প্রয়োজনীয় জিনিস অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় থাকল না, এর অর্থ কী? অত্যাবশ্যকীয় পণ্য না হওয়ার দরুন ওইসব পণ্য মজুতের ক্ষেত্রে কোনও সীমা থাকল না। অর্থাত্ ব্যবাসায়ী ও মজুতকারীরা সুবিধে পাবেন। সরকারের বক্তব্য অবশ্য ওইসব পণ্য উত্পাদন, সাপ্লাই ও মজুতের সীমার না থাকার ফলে কৃষকদের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাও ওইসব পণ্যের ব্যবসার ক্ষেত্রে সুবিধে পাবে। পাশাপাশি আসবে বিদেশি বিনিয়োগও।
আরও পড়ুন-উঠে গেল ৮ সাংসদের ধর্না, সাসপেনশন না তুললে রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কটের ঘোষণা বিরোধীদের
উল্লেখ্য, সাড়ে ছয় দশক পর বদল হল এই আইন। এনিয়ে কেন্দ্রীয় কনজিউমার অ্যাফেসার্স দফতরের মন্ত্রী ডি আর দাদারাও বলেন, দেশের আইনে মজুত করার ক্ষেত্রে সীমা নির্দিষ্ট থাকায় কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগে বাধার সৃষ্টি হচ্ছিল। নতুন এই আইনে চাষি ও ক্রেতা দুপক্ষই লাভবান হবে। প্রসঙ্গত, দেশে কোনও আপাতকালীন পরিস্থিতি ছাড়া ওইসব কৃষি পণ্য মজুতের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না।
বিরোধী মহলের প্রশ্ন, বেসরকারি সংস্থাগুলো কীভাবে এই আইনের ফলে লাভবান হবে! তারা কি চাষিদের আগাম ঋণ দিয়ে চাষের ফসল কম দামে কিনে মুনাফা করবে!সেটাই এখন দেখার।