নিজস্ব প্রতিবেদন: রমজান শেষ হতেই কাশ্মীরে ভারতের তরফে ঘোষিত অস্ত্রবিরতি প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। টুইটে একথা জানান তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রমজানে উপত্যকায় রক্তক্ষয় রুখতে গত ১৭ মে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান স্থগিত করে ভারত সরকার। জানানো হয়, রমজানে গুলি চালানো হবে না ভারতীয় বাহিনীর তরফে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির জোটসঙ্গী পিডিপি ও বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্স। তবে তাতেও উপত্যকায় রক্তপাত এড়ানো যায়নি। নিরাপত্তারক্ষীদের তরফে অস্ত্রবিরোধী সত্ত্বেও লাগাতার নাশকতা চালিয়ে গিয়েছে জঙ্গিরা। কখনো সীমান্তের ওপার থেকে উড়ে আসা গোলায় প্রাণ গিয়েছে ভারতীয় জওয়ানের।


ওদিকে উপত্যকায় অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর হয় অন্য একটি অংশ। তাদের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্তে কাশ্মীরে শান্তি তো ফিরবেই না, বরং নিজেদের আরও গুছিয়ে নিতে পারবে জঙ্গিরা। রমজানের শেষে সাংবাদিক সুজাত বুখারি ও সেনার রাইফেলম্যান ঔরঙ্গজেবের হত্যায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা বড়সড় প্রশ্ন উঠে যায়। 


মধ্যপ্রদেশে মহারানা প্রতাপ জয়ন্তীর মিছিলে ইটবৃষ্টি ঘিরে ধুন্ধুমার, জারি ১৪৪ ধারা


কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দু'দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে কাশ্মীরে অস্ত্রবিরতির ভবিষ্যত্ কী হবে তা তখনও জানা যায়নি। রবিবার রাজনাথ টুইটে লেখেন, 'লাগাতার প্ররোচনা সত্ত্বেও রমজানে নিরাপত্তারক্ষীদের সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। এবার ফের শুরু হবে জঙ্গি নিকেশ অভিযান।' 


বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে ভারত সরকার যে সদিচ্ছা দেখিয়েছিল তাকে উপযুক্ত মর্যাদা দিতে পারেনি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। যার ফলে একতরফা অস্ত্রবিরতি জারি রাখলে আরও সমালোচনার মুখে পড়তে হত মোদী সরকারকে।