জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিষিদ্ধ পদ্ধতিতেই এল সাফল্য। মার্কিন অগার মেশিন ভেঙে পড়ার পর উত্তরকাশীর টানেলে আট ৪১ শ্রমিকদের পরিবারের মনবল আরও একদফা ভেঙে পড়ে। সেই সময়ে দিল্লি ও ঝাঁসি থেকে উড়িয়ে আনা হয় র‌্যাট হোল মাইনার-দের। তারাই কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় সরু পাইপের মধ্যে বসে সরিয়ে ফেলেন ১৫ মিটার ধস। প্রায় ৪০০ ঘণ্টার পর এক ঝটকায় টানেলে আটক শ্রমিকদের সামনে খুলে যায় সব বাধা। কী বলছেন সেই র‌্যাট হোল মাইনরসরা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ধর্মতলায় সভা; আজ কলকাতায় অমিত শাহ, জেলা থেকে শহরমুখি বিজেপি সমর্থকেরা


মেশিন যেখানে জবাব দিয়েছিল সেখানে হাতে সরু জায়গায় বলে হাতে খুঁড়ে অসাধ্য সাধন করেছেন র‌্যাট হোল মাইনারসরা। একেবারে ইঁদুরের মতো খুঁড়ে, ধস সরিয়ে রাস্তা করে এগিয়ে গিয়েছেন। তাদের দাবি তাঁরা মোট ১৫ মিটার রাস্তা কেটেছেন। শ্রমিকরা বেরিয়ে আসার পর ১২ জনের সেই টিমের মুখের হাসি দেখে বোঝাই যাচ্ছিল না কী পরিশ্রম করতে করতে হয়েছে গত কয়েক ঘণ্টায়।


র‌্যাট হোল মাইনারসরা যে মূহূর্তে গর্ত খোঁড়ার কাজ শেষ করেন তাদের দেখে চিত্কার করে ওঠেন আটক শ্রমিকরা। মাইনারসরা সংবাদমাধ্য়মে বলেছেন, মোট ১৫ মিটার রাস্তা কাটতে হয়েছে। ওদের যখন প্রথম দেখলাম তখন আমাদের মন খুশিতে ভরে উঠেছিল। ওরা আামাদের জড়িয়ে ধরে চিত্কার করছিল। আমাদের আমন্ড খেতে দিল।



মোট ১২ জনের র‌্যাট হোল মাইনার টিমের নেতৃত্বে ছিলেন ওয়াকিল হাসান। সংবাদমাধ্য়মে তিনি বলেন, মনে হল দেশের জন্য কিছু করতে পারলাম। খুব কঠিন কাজ। সরু জায়গায় কাজ করতে হয়েছিল। ৪১ জনের প্রাণ বাঁচাব ভেবেই জেদ মনে জেদ চেপে গিয়েছিল। আমার সঙ্গীরা খুব পরিশ্রম করেছে। জীবনে এমন চ্যালেঞ্জিং কাজ আগে কখনও করিনি। টিমের কর্মীরা টানা ২৪ ঘণ্টা বিরামহীন কাজ করেছে।


আটক শ্রমিকরা বেরিয়ে আসার পর র‌্যাট হোল মাইনারসদের ধন্যাবাদ জানিয়েছেন উত্তরাকণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, মেশিন ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু হাতে যারা খোঁড়ার কাজ করেছেন তাদের ধন্যবাদ।


র‌্যাট হোল মাইনিং কী


কয়লা তোলার জন্য র‌্যাট হোল মাইনিং দেশে প্রচলিত অত্যন্ত পুরনো ও বিপজ্জনক পদ্ধতি। এই পদ্ধতি ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খুব সরু গর্ত করে নীচের দিকে এগিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সময় গর্ত এতটাই সরু হয় যে একজন মাত্র সেই গর্তে নামতে পারেন। টানেল সরু হওয়ায় অনেকসময় সেখানে নামে মহিলা ও শিশুরাও। এরপর ছোট গাঁইতি গিয়ে খুঁড়ে কয়লা বের করা হয়। র‌্যাট হোল মাইনিংয়ের দুটি পদ্ধতি চালু রয়েছে। একটি হল উলম্বভাবে গর্ত না খুঁড়ে ধীরে ধীরে নীচের দিকে যাওয়া হয়। আর দ্বিতীয়টি হল ১০-১০০ বর্গ মিটার গর্ত খোঁড়ার পর সেখান থেকে আরও ১০০-৪০০ ফুট কুঁয়ো খোঁড়া হয়। গ্রিন ট্রাইবুন্যাল এই পদ্ধতিরতে কয়লা খনন বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ এটি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। ভূগর্ভস্থ জলে  অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এখন সেই র‌্যাট হোল মাইনরসদের উপরেই ভরসা করতে হল সরকারকে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)