রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে হেয় করা বিপর্যয়ের সামিল: বিরল-মন্তব্যে এক সুর কর্মীদের
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এমন পর্যবেক্ষণ ভাল চোখে দেখচ্ছে না কেন্দ্র। পিএমও-র এক কর্তা জানান, প্রকাশ্যে শীর্ষ ব্যাঙ্কের এমন মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআইয়ের পর আরবিআই। অস্বস্তির রেশ যেন কাটছে না কেন্দ্রের। গত সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গর্ভনর বিরল আচর্য্য এক অনুষ্ঠানে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের উপর কেন্দ্রে ‘নাক গলানো’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রকাশ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এমন মন্তব্য নজিরবিহীন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিরলের এমন ‘বিরলতম মন্তব্যে’ বেশ অস্বস্তিতে পড়ছে কেন্দ্র। ভোটের মরসুমে ষোলোআনা ফায়দা তুলতে আরও একটি বড় অস্ত্র চলে এল বিরোধীদের হাতে।
আরও পড়ুন- টাকা দিন, না হলে দিওয়ালি দেখতে পাবেন না! এক সঙ্গে ২৮ জন বিধায়কের কাছে হুমকির বার্তা
উল্লেখ্য, কেন্দ্র যতই সমালোচনা করুক না কেন, ডেপুটি গভর্নরকে কার্যত সমর্থন করছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মচারীরাও। সোমবার, এক বিবৃতি দিয়ে অল ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ককে হেয় করা এক প্রকার বিপর্যয়। কেন্দ্রকেই এর প্রতিরোধ করা উচিত। রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ঘোড়ার নাল পরানোর বদলে দুই পক্ষ একসঙ্গে বসে সমাধান সূত্র বার করা উচিত। বিরল আচার্য্যও এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন। সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি এও বলেন, কেন্দ্রের এমন আচরণে মূলধনী বাজারে আস্থা হারাবে লগ্নীকারীরা।
আরও পড়ুন- নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ‘সাড়া’ দিলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এমন পর্যবেক্ষণ ভাল চোখে দেখচ্ছে না কেন্দ্র। পিএমও-র এক কর্তা জানান, প্রকাশ্যে শীর্ষ ব্যাঙ্কের এমন মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। ওই প্রতিষ্ঠানের এমন অপ্রত্যাশিত মন্তব্য হতাশ করছে কেন্দ্রকে। সরকার বরাবরই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা এবং স্বশাসনকে সম্মান করে। নিজেদের দায়বদ্ধতা বোঝা উচিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। বিরল আচার্য্য বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের মন্তব্য এক প্রকার গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের দফতর থেকে আসা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। একটা সময় ওয়াকিবহাল মহলে গুঞ্জন শুরু হয়, নোটবন্দির পর রঘুরাম রাজনের স্থলাভিষিক্ত উর্জিত প্যাটেল নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ। হঠাতই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই অবস্থানে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে।