Adani Stock Crisis: ব্যাংকিং ব্যাবস্থা স্থিতিশীল, আদানি গ্রুপের সংকটের মাঝেই নতুন বিবৃতি রিজার্ভ ব্যাংকের
আরবিআই বলেছে যে এটি সজাগ রয়েছে এবং ভারতীয় ব্যাংকিং সেক্টরের স্থিতিশীলতার উপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, `আরবিআই-এর বর্তমান মূল্যায়ন অনুযায়ী, ব্যাংকিং সেক্টর স্থিতিশীল রয়েছে’।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া শনিবার জানিয়েছে যে বলেছে যে দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির কাছে ঋণদাতাদের এক্সপোজার সম্পর্কে উদ্বেগের মধ্যেই এই কথা জানিয়েছে তারা।
রিজার্ভ ব্যাংক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পুঁজির পর্যাপ্ততা, সম্পদের গুণমান, লিকুইডিটি, প্রভিশন কভারেজ এবং লাভজনকতার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্যারামিটার ভালো অবস্থায় রয়েছে। ব্যাংকগুলি আরবিআই-এর জারি করা বৃহৎ এক্সপোজার ফ্রেমওয়ার্ক নির্দেশিকাগুলিও মেনে চলছে’।
আরবিআই বলেছে যে এটি সজাগ রয়েছে এবং ভারতীয় ব্যাংকিং সেক্টরের স্থিতিশীলতার উপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'আরবিআই-এর বর্তমান মূল্যায়ন অনুযায়ী, ব্যাংকিং সেক্টর স্থিতিশীল রয়েছে’।
আরও পড়ুন: Yogi Adityanath: মোদীর পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী যোগী! কী জানালেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী?
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বিবৃতি জারি করেছে কারণ, ‘একটি ব্যবসায়িক সংঘের কাছে ভারতীয় ব্যাংকগুলির এক্সপোজার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে বহু রিপোর্ট করা হয়েছে’।
যদিও এতে আদানি গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।
RBI একটি ডাটাবেস রক্ষণাবেক্ষণ করে। এর নাম সেন্ট্রাল রিপোজিটরি অফ ইনফরমেশন অন লার্জ ক্রেডিটস। একে CRILC-ও বলা হয়। সেখানে ব্যাংকগুলি তাদের পাঁচ কোটি টাকা অথবা তার বেশির এক্সপোজার রিপোর্ট করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে CRILC ব্যবহার করে।
মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ উচ্চ ঋণের মাত্রা এবং ট্যাক্স হেভেন ব্যবহারের অভিযোগ তোলার পরে, আদানি গ্রুপের সংস্থাগুলির শেয়ারগুলি তাদের বাজার মূল্যের অর্ধেকেরও বেশি অথবা একত্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: Madhya Pradesh: নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুকে ৫১ বার গরম রডের ছ্যাঁকা......
বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির নেতৃত্বে পোর্ট-টু-এনার্জি গ্রুপ সব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং কোনও রকম অন্যায়ের কথা অস্বীকার করেছে। ৪১৩ পাতার একটি প্রতিক্রিয়ায়, আদানি গ্রুপ বলেছে যে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টটি মার্কিন সংস্থাকে আর্থিক লাভের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ‘একটি মিথ্যা বাজার তৈরি করার’ ‘একটি ভুল উদ্দেশ্য’ নিয়ে তৈরি হয়েছিল।
আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড সম্পূর্ণভাবে সাবস্ক্রাইব করার একদিন পরে তার ২০,০০০ কোটি টাকার ফলো-অন শেয়ারের বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। আদানি বলেছেন যে কোম্পানির বোর্ড মনে করেছে যে বাজারের অস্থিরতার মধ্যে ‘ইস্যুটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া নৈতিকভাবে সঠিক হবে না’।
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনার দাবি প্রত্যাখ্যান করার পরে বিরোধী দলগুলি বৃহস্পতিবার সংসদের উভয় কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করে। পরবর্তীতে, দলগুলির নেতারা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের পাশাপাশি বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর নৈকট্যের জন্য একটি যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত বা সুপ্রিম কোর্ট-নিযুক্ত একটি প্যানেল দ্বারা একটি সময়সীমার মধ্যে তদন্তের দাবি জানায়।