২৩,০০০ কোটি টাকার বাতিল নোটকে RBI যেভাবে ধ্বংস করবে!
দেশে মোট বাতিল টাকার পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩,০০০ কোটি টাকায়। সারা দেশজুড়ে ব্যাঙ্ক, পোস্টঅফিসের সামনে লম্বা লাইন। যার কাছে যত ৫০০, ১০০০ ছিল, সব গিয়ে জমা পড়েছে। এবার এই বিশাল পরিমাণ টাকা নিয়ে কী করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? কীভাবে এই বিশাল পরিমাণ টাকা ধ্বংস করবে RBI? গোটা পদ্ধতিটা বেশ চমত্কার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ওয়েব ডেস্ক : দেশে মোট বাতিল টাকার পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩,০০০ কোটি টাকায়। সারা দেশজুড়ে ব্যাঙ্ক, পোস্টঅফিসের সামনে লম্বা লাইন। যার কাছে যত ৫০০, ১০০০ ছিল, সব গিয়ে জমা পড়েছে। এবার এই বিশাল পরিমাণ টাকা নিয়ে কী করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? কীভাবে এই বিশাল পরিমাণ টাকা ধ্বংস করবে RBI? গোটা পদ্ধতিটা বেশ চমত্কার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কারেন্সি ভেরিফিকেশন ও প্রসেসিং সিস্টেম (CVPS)-
২০০৩ সাল থেকে এটা চালু। চালু করেছিলেন তত্কালীন গর্ভনর বিমল জালান। খুব তাড়াতাড়ি ও অত্যন্ত সুরক্ষিত ভাবে বাতিল টাকা নষ্ট করা হয় এভাবে।
CVPS-এর ক্যাপাসিটি-
এক-একটি CVPS প্রতি ঘণ্টায় ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ নোট নষ্ট করতে পারে। প্রথমে নোটগুলি আসল কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখা হয়। তারপর বাছাই করে 'ফিট' এবং 'আনফিট', এই দুভাগে আলাদ করা হয়। আনফিট নোটগুলি অন-লাইন বাঞ্চে বাঞ্চে নষ্ট করা হয়।
ব্রিকেটস-
ছেঁড়া নোটগুলিকে অন-লাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয় ব্রিকেটিং বলে একটি পৃথক সিস্টেমে। যেখানে আসলে ছেঁড়া নষ্ট নোটগুলিকে পুড়িয়ে ছোট ছোট চালকোল মণ্ডে পরিণত করা হয়। এরপর সেই চারকোল টুকরো বাড়ি বা কলকারখানায় জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার জমি ভরাটের কাজেও লাগানো হয়।
RBI-এর কাছে এরকম কতগুলি মেশিন আছে?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ১৯টি অফিসে ২৭টি মেশিন রয়েছে নোট ছেঁড়া ও ব্রিকেটিং-এর জন্য। অন্যদিকে 'ফিট' নোটগুলি রিসাইক্লিং করে আবার নতুন নোট তৈরি করা হয় পুনরায় ব্যবহারের জন্য।
আরও পড়ুন, মেয়াদ বাড়ল পুরনো নোট ব্যবহারের