দেশজুড়ে লকডাউনই চায় কেন্দ্রের Covid-19 টাস্ক ফোর্স
তাঁদের এই মতামত ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়েছেন চেয়ারপার্সন ভি কে পাল
নিজস্ব প্রতিবেদন: যেভাবে করোনা অতিমারি চোখ রাঙাচ্ছে তাতে করে দেশ লকডাউনের পথেই হাঁটবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রের কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্স দেশজুড়ে লকডাউন জারি করার জন্য মোদী সরকারকে 'কঠোর চাপ' দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পুরোপুরি ভেঙে না ফেলতে চাইলে অবিলম্বে লকডাউন প্রয়োজন। টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন AIMS ও ICMR এর মতো প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের এই মতামত ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়েছেন চেয়ারপার্সন ভি কে পাল।
আরও পড়ুন: 'গোটা ভারতে কয়েক সপ্তাহের লকডাউন', পরামর্শ বাইডেনের শীর্ষ চিকিৎসা উপদেষ্টার
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩.৯২ লক্ষ মানুষ। মারা গিয়েছেন ৩৬৮৯ জন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ক্রমশ ক্ষোভ, অসন্তোষ বাড়ছে। তাঁদের মধ্যে সংক্রমণও বাড়ছে। গ্রামীণ ভারতেও মাথা চাড়া দিচ্ছে কোভিড। এই অবস্থায় লকডাউনই একমাত্র উপায় বলে জোর করছেন বিশেষজ্ঞরা। দ্বিতীয় ওয়েভে সংক্রমণে রাশ টানতে কয়েক সপ্তাহের জন্য ভারতে লকডাউন জারি করার পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ চিকিৎসা উপদেষ্টা তথা মহামারীবিদ অ্যান্টনি ফৌসিও।
আরও পড়ুন: নায়াগ্রার আলোকসজ্জায় ভারতীয় পতাকার রঙ-আভাস, করোনায় পাশে থাকার বার্তা
প্রসঙ্গত, ভারতে বেশ কিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা করেছে। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেন, লকডাউন শেষতম হাতিয়ার। পরিযায়ী শ্রমিকদেরও নিজেদের কর্মস্থল না ছেড়ে আসার অনুরোধ জানান মোদী। রাজ্য সরকারগুলিকে তা দেখভালের জন্যও আর্জি জানান। কিন্তু যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, দেশজুড়ে অক্সিজেন সঙ্কট, নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, এই সমস্ত কারণে ভারতও কি ফের লকডাউনের পথে হাঁটবে এখন সেটাই দেখার।