৫ হাজার কোটির ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত নিতিন কি এখন নাইজেরিয়ায়?
এক শীর্ষ আধিকারিকের দাবি, `সূত্র মারফত্ খবর এসেছিল, অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুবাইতে আটক হয়েছে নিতিন সন্দেসরা। কিন্তু, সেই তথ্য আদতে ভুল। দুবাইতে তাকে কখনও আটক করা হয়নি। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সে (নিতিন) সম্ভবত নাইজেরিয়ায় আত্মগোপন করেছে`।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজয় মালিয়া, লোলিত মোদী, মেহুল চোকসির পর এবার নিতিন সন্দেসরা। ৫ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত গুজরাটের এই ব্যবসায়ী এই মুহূর্তে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। গুজরাট কেন্দ্রীক স্টারলিং বায়োটেক-এর মালিক তথা সিবিআই ও ইডি-র নিশানায় থাকা নিতিন সন্দেসরা দুবাইতে আটক হয়েছে বলে যে খবর মিলেছিল, তাও সঠিক নয় বলে এখন জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর পরিবর্তে সে এখন নাইজেরিয়াতে ঘাঁটি গেড়েছে। আরও জানা যাচ্ছে, নিতিনের সঙ্গে তার ভাই চেতন ও ভাতৃবধূ দিপ্তীবেন গা ঢাকা দিয়েছে।
নাম গোপনের শর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক শীর্ষ আধিকারিকের দাবি, "সূত্র মারফত্ খবর এসেছিল, অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুবাইতে আটক হয়েছে নিতিন সন্দেসরা। কিন্তু, সেই তথ্য আদতে ভুল। দুবাইতে তাকে কখনও আটক করা হয়নি। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সে (নিতিন) সম্ভবত নাইজেরিয়ায় আত্মগোপন করেছে"। উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে নাইজেরিয়ার কোনও বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি বা পারস্পরিক আইনি সহায়তার চুক্তিও নেই। ফলে আফ্রিকার এই দেশ থেকে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে ফিরিয়ে আনতে বেগ পেতে হবে ভারতকে। সম্ভবত, এই বিষয়টি বিবেচনা করেই আত্মগোপনের জন্য নাইজেরিয়া বেছে নিয়েছে নিতিন সন্দেসরা, এমনটাই মনে করছে তদন্দকারীদের একাংশ। আরও পড়ুন- রাফাল দুর্নীতির অভিযোগে রাহুলকে সমর্থন পাকিস্তানের,'আন্তজার্তিক মহাজোট', খোঁচা অমিতের
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখন 'প্রভিশনাল অ্যারেস্ট'-এর আবেদন জানিয়ে আরব আমিরশাহীতে একটি চিঠি পাঠাবে বলে ঠিক করেছে। নিতিনের দেখা মিললেই যাতে গ্রেফতার করা হয় সেই আবেদনই করা হবে। কিন্তু, ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত এই ব্যবসায়ী তো আর সেই দেশেই নেই, তাহলে এমন আবেদনে লাভ কী? আধিকারিকদের একাংশের দাবি, এই চিঠির ফলে পরবর্তীকালে নিতিন সন্দেসরার নামে রেড কর্নার নোটিস জারি করতে পদ্ধতিগত সুবিধা হবে। আরও পড়ুন- রাফাল বিতর্কে তদন্তের দাবি করল সপা সুপ্রিমো অখিলেশ
সিবিআই ও ইডি সূত্রে দাবি, বিপুল অঙ্কের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি ঢাকতে তিনশোরও বেশি 'শেল কোম্পানি' বা বেনামি কোম্পানি তৈরি করেছিল সন্দেসরা। আর এগুলির মাধ্যমেই ব্যাঙ্কের টাকা বেআইনিভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল।