নিজস্ব প্রতিবেদন: হিন্দুত্বের মানে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলা। মুসলিমদের গ্রহণ করাও এর অংশ। মুসলিমদের যদি গ্রহণ করতে না পারি, এটা হিন্দুত্ব নয়। ভারতীয়ত্বই ও একাত্মকরণই হল হিন্দুত্ব। দিল্লিতে 'আরএসএস-এর চোখে ভবিষ্যত ভারত' শীর্ষক সম্মেলনে সম্প্রীতির এমন বার্তাই দিলেন সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি লন্ডনে আরএসএসের সঙ্গে আরবের মুসলিম ব্রাদারহুডের তুলনা করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, মুসলিম ব্রাদারহুডের মতোই দেশে সব প্রতিষ্ঠানগুলি দখল করতে চায় আরএসএস। উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গেই কংগ্রেসের নাম না করে মোহন ভাগবত বলেন,''সঙ্ঘ মানে বিশ্ব ব্রাদারহুড (ভ্রাতৃত্ব)। এই ভ্রাতৃত্বের জেরেই বিভেদের মধ্যে রয়েছে ঐক্য। এজন্য আমরা বলি হিন্দু রাষ্ট্র''। 


সঙ্ঘ গোটা সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে বলেও মনে করিয়ে দেন মোহন ভাগবত। তাঁর কথায়,''জন্ম থেকেই রাজনীতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আরএসএস। নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করে না, এমনকি কোনও নির্বাচনী প্রক্রিয়াতেও যোগ দেয় সঙ্ঘ। কোনও রাজনৈতিক দলের পদাধিকারী হতে পারেন না আরএসএস কর্মীরা''।     
     
নয়াদিল্লিতে 'আরএসএস-এর চোখে ভবিষ্যত ভারত' শীর্ষক সম্মেলনে সোমবারই চমক দিয়েছিলেন মোহন ভাগবত। স্বাধীনতার লড়াইয়ে কংগ্রেসের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন সরসঙ্ঘচালক। মোহন ভাগবত বলেছিলেন,''হিন্দুত্ব আমাদের একজোট করে রেখেছে। আমাদের কাছে হিন্দুত্বের মানে কাউকে ছোট করা নয়''।  


মোদী সরকারের কাজকর্মে সঙ্ঘ হস্তক্ষেপ করে না বলেও এদিন স্পষ্ট করেছেন ভাগবত। তাঁর কথায়, ''অনেকে প্রায়ই বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে নাগপুর। এটা একেবারে ভিত্তিহীন। সরকারের কর্মরত ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই আমাদের চেয়ে অভিজ্ঞ রাজনীতিক''। 


রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৯ সালের লোকসভার আগে মোদী রাস্তা মসৃণ করতে সংখ্যালঘুদের পাশে চাইছে সঙ্ঘ। সেই বার্তাই এদিন দিলেন মোহন ভাগবত। 


আরও পড়ুন- বেটিং করতে পারে দাউদ, ভারত-পাক ম্যাচে নজর ৬টিরও বেশি দেশের গোয়েন্দাদের