রাম মন্দির নিয়ে মোদীর অস্বস্তি বাড়াল আরএসএস
শিয়রে লোকসভা ভোট। তার আগে রামমন্দির নিয়ে অস্বস্তি কাটছেই না মোদীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে রাম মন্দির। মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে জানিয়ে দিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। শুক্রবার কুম্ভমেলায় একটি অনুষ্ঠানে সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক ভাইয়াজি জোশী জানিয়ে দিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে রাম মন্দির করতে হবে।
শিয়রে লোকসভা ভোট। তার আগে রামমন্দির নিয়ে অস্বস্তি কাটছেই না মোদীর। অসন্তুষ্ট সঙ্ঘ এবার মন্দির নির্মাণের সময়সীমা বেঁধে দিল। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় গিয়ে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক ভাইয়াজি জোশী জানিয়ে দিলেন, অযোধ্যায় ২০২৫-এর মধ্যে মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ করতে হবে। আরএসএসের নম্বর টু ভাইয়াজি বলেন,''১৯৫২ সালে সোমনাথ মন্দির তৈরি হয়েছিল। এগিয়ে গিয়েছে দেশ। ২০২৫ সালে রাম জন্মভূমির উপরে মন্দির তৈরির পর দেশের উন্নতি আরও গতি পাবে। রাম মন্দির নির্মাণের পর আরও ১৫০ বছরের জন্য বিনিয়োগ পাবে''।
সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে অযোধ্যা জমি বিতর্ক মামলা। যদিও আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করে অর্ডিন্যান্স জারি করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে শিবসেনা এবং ভিএইচপির মতো হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্দির তৈরি নিয়ে এগোতে চায় না সরকার। তবে ততদিন বসে থাকায় সায় নেই যোশীর। রামমন্দির নিয়ে মোদীর মন্তব্যে এর আগেও অসন্তোষ প্রকাশ করে সঙ্ঘ। এবার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মোদী সরকারের ওপর আর ভরসা নেই আরএসএসের? এর আগে সরকারকে অধ্যাদেশ আনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, কীভাবে রাম মন্দির নির্মাণ দ্রুত শুরু করা যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে মোদী সরকারকে।
আরও পড়ুন- জমে উঠেছে রাজনীতির খেলা, কর্ণাটকে শক্তিপ্রদর্শন করতে গিয়ে 'রুগ্ন' কংগ্রেস
রাম মন্দির না হলে ভোট নয় বলে চাপ বাড়িয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ক্ষোভ প্রশমনে মন্দির নির্মাণ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। রাম মন্দির নিয়ে জটিলতার জন্য কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু ২০১৯ সালে রাম মন্দির যে মোদীর গলার কাঁটা হতে চলেছে, তা নিয়ে দ্বিমত নেই রাজনৈতিক কারবারিদের।
আরও পড়ুন- প্রেমিকের সঙ্গে পুনমের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো ফাঁস
অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে ২৯ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু। বিচারপতি ইউইউ ললিতও ওই ডিভিশন বেঞ্চে ছিলেন। কিন্তু ১৯৯৭ সালে এই মামলাতেই উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংয়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছিলেন তিনি। যার জেরে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।