নিজস্ব প্রতিবেদন: ডুঙ্গরি টু দুবাই- 'পিন ড্রপ সাইলেন্স', শুনশান পথঘাট, নিঃশব্দে চলছে মুম্বইয়ের রেল, টেলিভিশনের পর্দায় ২০০ কোটি চোখ। সচিন বলবেন। ৫ বছরে প্রথমবার রাজ্যসভায় বলবেন ভারতরত্ন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। সম্মতি দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। বরাবরের শান্ত স্বভাবের, স্বল্প উচ্চতার হেভিওয়েট সচিন নিজের স্থান থেকে উঠেও দাঁড়ালেন। কিন্তু, বলা হল না তাঁর! একটা কথাও বলা হল না জীবন্ত কিংবদন্তির। স্টিভ বাকনারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হওয়ার মতোই হতাশ সচিন। শতরান তো দূর, রাজ্যসভায় রানই হল না সচিনের! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ২জি কেলেঙ্কারি মামালায় বেকসুর খালাস কানিমোঝি, এ রাজা-সহ সব অভিযুক্ত


ওয়ালসের বাউন্সার, আক্রামের সুইং, আখতারের পেস, ওয়ার্নের গুগলি কিংবা মুরলির টপ ব্রেক সামলানো সচিন ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। ক্রিকেট শাসন করা ১০০ শতরানের মালিক গণতন্ত্রের মন্দিরে টুঁ শব্দটিও করতে পারলেন না। কেন বলতে পারলেন না সচিন? 


সিবিআই বিশেষ আদালতের রায়ে টু-জি মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন এ রাজা এবং কানিমোঝি সহ ১৭ জন অভিযুক্ত। ১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার কেলেঙ্কারির কলঙ্ক 'মুছতেই' সংসদের ভিতরে শাসকদলকে চেপে ধরেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। ইউপিএ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই 'ওয়ান পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা' নিয়েই সরগরম হয়ে উঠেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। হট্টগোলের মধ্যে পড়ে রাজ্যসভায় নিজের প্রথম ভাষণটাই দিতে পারলেন না ভারতরত্ন সচিন। 


আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে সেলফি! যেতে পারেন জেলে


বিরোধীদের এহেন আচরণের নিন্দা করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, "আপনারা ক্রীড়া বিষয়ক কোনও কিছু শুনতে চাইছেন না। ভারতরত্নকে অসম্মান করছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তিকে অপমান করছেন। এটা কোনও পদ্ধতি হতে পারে না।" বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় ক্রীড়া সংক্রান্ত আলোচনায় নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল সচিনের।