নিজস্ব প্রতিবেদন: রেল থেকে কেনা খাবারে টিকটিকি পড়েছে বলেই রে রে করে উঠেছিলেন বৃদ্ধ। জরিমানার হুমকিও দিলেন। শেষে মুকুব করা হল তাঁর খাওয়ার পয়সা। ঘটনা শেষ হল না এখানেই। অন্য আরও এক স্টেশনে ফের ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলেন সেই একই বৃদ্ধ। পরে জানা গেল, সুরেন্দ্র পাল নামের সেই বৃদ্ধ এমন কাণ্ড ঘটান ইচ্ছে করেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথমে জব্বলপুরে এবং পরে গুন্টকাল স্টেশন, পরপর দুই স্টেশনে একই ঘটনা দেখে সন্দেহ হয় রেলের ডিভিশনার কমার্শিয়াল ম্যানেজারের। নড়েচড়ে বসে রেল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টা খতিয়ে দেখতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বিড়াল। রেল ডিভিশন কর্মীদের সুরেন্দ্র পাল নামে ওই বৃদ্ধের ছবি পাঠিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন ডিভিশনার কমার্শিয়াল ম্যানেজার। জানা গেল ফ্রি-তে খাবার খেতে নিজেই খাবারে টিকটিকি মেশাতেন ওই বৃদ্ধ। 


আরও পড়ুন: তথ্য চুরি রুখতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে নয়া নির্দেশিকা সেনার


জব্বলপুরের এক রেল আধিকারিক জানান, '১৪ জুলাই জবলপুর স্টেশনে তিনি যে সিঙারা খেয়েছিলেন, তাতে টিকটিকি পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এরপর গুন্টকাল স্টেশনে তিনি দাবি করেন, তাঁকে দেওয়া নিরামিষ বিরিয়ানিতেও একটি টিকটিকি মিলেছে। এতেই সন্দেহ হওয়ায় সিনিয়র ডিসিএম-কে সতর্ক করি আমরা। তদন্তে জানা যায়, একই ব্যক্তি এমন কাজ করছেন। আসলে বিনামূল্যে খাবার পাওয়ার জন্য এই কাজ করেন সত্তরোর্ধ্ব এই বৃদ্ধ।' 


হাতেনাতে ধরতে ফাঁদ পাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ধরা পড়ে শেষমেষ নিজের দোষ স্বীকার করেন বৃদ্ধ।  রেল আধিকারিকদের সঙ্গে কথোপকথনের একটি ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে, যেখানে বৃদ্ধ বলছেন, 'আমি ভুল করেছি। আমি একজন বৃদ্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন। আমার ব্লাড ক্যান্সারও রয়েছে। ওটা টিকটিকি নয়, আমি মানসিক অসুস্থতার জন্য একধরনের মাছ খাই ওটা সেই মাছই। দয়া করে আমায় ছেড়ে দিন।' যদিও তিনি আদৌ অসুস্থ কিনা তা এখনও জানা যায়নি।