নিজস্ব প্রতিবেদন : ক্যামেরার সামনে প্রথমে একের পর এক কোপ। রক্তাক্ত শরীরটা মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিলেন এক ব্যক্তি। রাজস্থানের 'লাভ জিহাদ'-এর সেই ভিডিও সামনেই আসতেই শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। মালদার শ্রমিক মহম্মদ আফরাজুলকে খুনে অভিযুক্ত সেই শম্ভুলাল রেগার এবার ভোটে লড়বেন! শোনা যাচ্ছে, ২০১৯ লোকসভা ভোটে আগ্রা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শম্ভুলাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশ নবনির্মাণ সেনা বা ইউপিএনএস-এর হয়ে ভোটে লড়তে পারেন শম্ভুলাল। সোমবারই ইউপিএনএস-এর তরফে ভোটে লড়ার জন্য শম্ভুলালকে টিকিট অফার করা হয়েছে। আগ্রা থেকে ভোটে লড়ার জন্য শম্ভুলালকে প্রস্তাব দেওয়া হয়।  সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ নবনির্মাণ সেনার সেই প্রস্তাব গ্রহণও করেছেন শম্ভুলাল। রাজস্থানে লাভ জিহাদের ঘটনায় খুনে অভিযুক্ত শম্ভুলাল রাজস্থানের যোধপুর জেলে বন্দি রয়েছেন। উত্তর প্রদেশ নবনির্মাণ সেনার জাতীয় সভাপতি অমিত জানি জানিয়েছেন, যোধপুর জেল থেকেই ভোটে লড়বেন শম্ভুলাল। কিন্তু কেন আগ্রা থেকে ভোটে লড়ার জন্য শম্ভুলালের মতো একজন অভিযুক্তকে বেছে নেওয়া হল?


উত্তরে অমিত জানির স্পষ্ট জবাব, রাজস্থানের সেই ঘটনার পর থেকেই শম্ভুলালের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন তাঁরা। কারণ, লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের দলের হয়ে লড়ার জন্য হিন্দুত্ববাদী মুখের দরকার। হিন্দুত্ববাদী মুখ ছাড়া অন্য কেউ তাঁদের দলের হয়ে লড়ার জন্য যোগ্য নয়। আর হিন্দুত্ববাদী মুখ হিসেবে শম্ভুলালের চেয়ে উপযুক্ত অন্য আর কেউ হতে পারে না। সেই কারণেই ইউপিএনএস-এর হয়ে আগ্রা থেকে লড়ার জন্য তাঁরা শম্ভুলালকে বেছে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আগ্রা আসনটি তফশিলি জাতি- উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। বর্তমানে ওই আসনে সাংসদ রয়েছেন বিজেপির রামশঙ্কর কাঠারিয়া। জাতীয় তফশিলি জাতি- উপজাতি কমিশনের চেয়ারম্যান রামশঙ্কর।


আরও পড়ুন, দিল্লি পুলিস থেকে সাসপেন্ড তরুণী নিগ্রহকারী যুবকের বাবা


শম্ভুলালের আগ্রা থেকে লোকলভা ভোটে লড়ার বিষয়ে খুব শিগগিরই দলের তরফে সরকারি বিবৃতি দিয়ে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন অমিত জানি। দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগে পর্যন্ত শম্ভুলাল রেগারকে দোষী বলা যায় না বলে দাবি তাঁর। তাঁর সাফ বক্তব্য, শম্ভুলাল খুনে অভিযুক্ত, কিন্তু খুনি নন। মুখতার আনসারি, রাজা ভাইয়ার মতো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শম্ভুলালের চেয়েও গুরুতর অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ ছিল বলে দাবি করেছেন এইপিএনএস জাতীয় সভাপতি।  সাহবুদ্দিনের মতো কেউ যদি নির্বাচনে লড়তে পারেন, তাহলে শম্ভুলাল কেন ভোটে লড়তে পারবেন না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।


উল্লেখ্য, মাফিয়া হিসেবে কুখ্যাত মুখতার আনসারি পরবর্তীকালে রাজনীতিতে পা রেখে উত্তরপ্রদেশের মাও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৫ বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। কৃষ্ণনন্দ রাই খুনের ঘটনায় আনসারি ছিলেন মূল অভিযুক্ত। পরে অবশ্য বেকসুর খালাস পান তিনি। অন্যদিকে, পোটা আইনে অভিযুক্ত রাজা ভাইয়া পরবর্তীতে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীও হয়েছেন।