কত দিন ধরে গরিবরা এই খাবার খেতে পারত, সমালোচনায় শত্রুঘ্ন সিনহা
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৯১৮ কেজি খিচুড়ির সমালোচনায় কোমর বেঁধে নামলেন খোদ বিজেপি নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। বিজেপি সাংসদ তথা প্রবীণ বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন টুইট করে জানান, খিচুড়ি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করায় সত্যি ভাল লাগছে। কিন্তু এটা ভাবার দরকার ছিল, কত গরিব মানুষ কত দিন ধরে এই খাবার খেতে পারত। এখানেই ক্ষান্ত হননি এই বিজেপি নেতা। পরবর্তী একটি টুইটে ‘ইজি অব ডুয়িং বিজনেস’-এ মোদী সরকারের সাফল্যকেও প্রশ্নচিহ্নে ফেলে দেন শত্রুঘ্ন। তিনি বলেন, “ইজি অব ডুয়িং বিজনেসে-এ আমরা ১০০তম স্থানে এসেছি, সেটা ঢাকঢোল পিটিয়ে জানাচ্ছি, কিন্তু এটা জানলে ভাল হত দেশে কত জন মানুষ অভুক্ত থাকেন এবং অপুষ্টিতে ভোগেন।”
আরও পড়ুন- ভারতের ডাক টিকিটে স্থান পেল হায়দরাবাদী বিরিয়ানি থেকে তিরুপতির লাড্ডু
শত্রুঘ্ন সিনহা এই বিস্ফোরক টুইটে অস্বস্তিতে পড়েছে মোদী সরকার। বিশ্ব মঞ্চে খিচুড়িকে তুলে ধরতে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনেই করেছিলেন, আন্তর্জাতিক খাদ্য মেলায় খিচুড়িকে জাতীয় খাবার হিসাবে ঘোষণা করতে পারেন।
মোদীর ‘প্রিয় খাদ্য’ খিচুড়ি বানিয়ে রবিবার বিশ্বকে তাক্ লাগিয়ে দেয় ভারত। ৮০০ কেজির খিচুড়ি বানানোর পরিকল্পনা থাকলেও শেষে ওজন গিয়ে দাঁড়ায় ৯১৮ কেজিতে। খ্যাতনামা শ্যেফ সঞ্জীব কাপুর গোটা রান্নার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল এবং প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, বাবা রামদেব প্রমুখরা।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্রেই হার এবিভিপি-র
এই পেল্লাই খিচুড়ি বেশিরভাগটা অনাথ শিশু এবং গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল।