নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের ঠিক আগে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি। ২০১৪ সালের পর থেকে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে বাড়ছিল দূরত্ব। গতবছর শিবসেনা তরফে জানানো হয় লোকসভা নির্বাচনে একা লড়বে। তেমনই মহারাষ্ট্রে এসে অমিত শাহ জানিয়ে দেয়, তারা একা লড়তে ভয় পান না। কিন্তু, লোকসভা ভোটের আগে কোন্দল সরিয়ে রেখে হাত মেলাল পুরনো দুই শরিক।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন জয়পুর থেকে সোজা মুম্বইয়ে যান অমিত শাহ। মাতোশ্রীতে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তারপর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস ঘোষণা করেন, রাজ্যে ২৩টি আসনে লড়াই করবে শিবসেনা। বাকি ২৫টি আসনে প্রার্থী দেবে বিজেপি। তবে বিধানসভায় সমসংখ্যাক আসনে বিজেপি-শিবসেনা লড়াই করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ফড়ণবীস। 




শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের কথায়,''৩০ বছর ধরে আমাদের জোট। গত ৫ বছরে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। তবে ধারাবাহিকভাবে সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি''। সমাঝোতা চূড়ান্ত করে অমিত শাহের দাবি, ৪৮টির মধ্যে ৪৫টি আসনই আমরা জিতব।




মহারাষ্ট্রে ৪৮টি লোকসভার আসন। ২০১৪ সালের মতো মোদী হাওয়া আর নেই। তার উপরে কংগ্রেস ও এনসিপি জোট বেঁধেছে মরাঠাভূমে। এমতাবস্থায় শিবসেনা ও বিজেপি আলাদা আলাদা লড়াই করলে দুপক্ষেরই লোকসান। কারণ, দুই দলের ভোটারের চরিত্র কার্যত একই। শিবসেনা আগে থেকে সমসংখ্যক আসনের দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু মহারাষ্ট্রে এখন নিজেদের বড় শরিক মনে করে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে শিবসেনার দাবিকে পাত্তা দিচ্ছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু, লোকসভা ভোটের আগে অবস্থা বেগতিক দেখে কার্যত শিবসেনার আবদার মেনে নিতে অমিত শাহ বাধ্য হলেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। 


উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে পৃথকভাবেই লড়ে শিবসেনা ও বিজেপি। নির্বাচন পরবর্তী জোট হয় তাদের। কিন্তু গত ৩ বছরে বিভিন্ন ইস্যুতে সমালোচনা করতে দেখা যায় ৩ দশকের এনডিএ সঙ্গী শিবসেনাকে। সম্প্রতি অযোধ্যায় গিয়ে রামমন্দির নিয়ে মোদীসরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন উদ্ধব ঠাকরে। রামমন্দির তৈরিতে অধ্যাদেশ আনার বিষয়ে শিবসেনাকে চাপ সৃষ্টি করতে দেখা যায়। 


আরও পড়ুন- জাতীয় পতাকা নিয়ে বেরিয়ে ঠিক করেছে আরএসএস, মমতাকে পাল্টা দিলীপের