নিজস্ব প্রতিবেদন: দুই শরিকের মধ্যে বিবাদ থাকলেও অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিজেপির পাশে দাঁড়াল শিবসেনা। একইসঙ্গে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘরে ফেরানোর দাবি তুললেন উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনার মুখপত্র সামনায় বিজেপির প্রশংসা করে লেখা হয়েছে, ''দেশের নিরাপত্তার পক্ষে যারা বিপজ্জনক, তাদের দেশের বাইরে ফেলে দিতে হবে। কাশ্মীরেও অনুপ্রবেশ বন্ধ করা উচিত''।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিবেসনার বক্তব্য, ''অসম থেকে ৪০ লক্ষ অনুপ্রবেশকারীকে তাড়াতে কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি। এই দেশাত্মবোধক পদক্ষেপের জন্য সাধুবাদপ্রাপ্য। বাংলাদেশি, শ্রীলঙ্কান, পাকিস্তানি বা রোহিঙ্গা- অনুপ্রবেশকারীদের দেশ ছাড়তে হবে''।  


জম্মু-কাশ্মীকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের 'ঘর ওয়াপসি'র দাবি করেছে শিবসেনা। তাদের আরও দাবি, অবিলম্বে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করতে হবে। নাগরিকপঞ্জির মতোই এটাও দেশাত্মবোধক পদক্ষেপ হবে। তাদের মতে, অসমের মতো কাশ্মীরেও নাগরিকপঞ্জি তৈরি হলে গোটা দেশের বাড়ির ছাদে উড়বে হিন্দুত্বের পতাকা। 


অসমের নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ গিয়েছে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম। এরপরই সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের দলের ৮ প্রতিনিধিকে শিলচরেও পাঠান তিনি। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরের বাইরে পা ফেলতে দেয়নি অসম পুলিস। দিনভর নাটকের পর সন্ধেয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের গ্রেফতার করে পুলিস। 


তৃণমূল যখন রণংদেহি অবস্থান নিয়েছে তখন আপাতত ধীরে চলো নীতি কংগ্রেসের। বৃহস্পতিবার একটি চ্যানেলে সাক্ষাত্কারে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করছেন না তাঁরা। তবে বিজেপি সরকার এনিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। সরকার সঠিকভাবে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করুক। নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কংগ্রেসের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করলে হাতছাড়া হবে অহমিয়াদের ভোট, আবার পক্ষে দাঁড়ালে সংখ্যালঘু ভোট খোয়ানোর শঙ্কাও রয়েছে।


শিবসেনার পক্ষে নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরেই নাগরিকপঞ্জির দাবিতে সরব হয়েছে তারা। ফলে বিজেপির সঙ্গে নানা বিষয়ে মতের অমিল হলেও এক্ষেত্রে বিরোধিতা করলে শিবসেনার ভাবমূর্তি ধাক্কা খেত বলে মত অনেকের। উল্লেখ্য, দিল্লি সফরে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রউতের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যালটে পেপার লোকসভা ভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিরোধী দলগুলি। এই দলগুলির মধ্যে শিবসেনাকেও সামিল করেছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৯ সালের আগে নিজস্ব রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা মেনে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির পথেই হাঁটতে চাইছে বিরোধীরা। অসমের নাগরিকপঞ্জির মতো বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে যেতে চাইছে তারা।                         


আরও পড়ুন- অসমে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ, বলছে জনগণনার পরিসংখ্যান