অসমে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ, বলছে জনগণনার পরিসংখ্যান
পরিসংখ্যান দিয়ে জেটলি একটি ব্লগে লিখেছেন, ১৯৬১ - ২০১১ সাল পর্যন্ত অসমে হিন্দুদের জনসংখ্যা বেড়েছে ২.৪ গুণ। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৩.৯ গুণ।' এর ফলে সেরাজ্যের জনবিন্যাস বিপুলভাবে প্রভাবিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি আপডেটের কাজকে সমর্থন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং। অরুণ জেটলির যুক্তি, অসমে হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে ছাপিয়ে গিয়েছে মুসলিমদের বৃদ্ধির হার।
গত সোমবার অসমে প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না-পারলে এদের বিদেশি বলে ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জেরে তাঁদের জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অসমের অধিবাসীরা। অসমবাসীর দাবি মেনেই NRC তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
পরিসংখ্যান দিয়ে জেটলি একটি ব্লগে লিখেছেন, ১৯৬১ - ২০১১ সাল পর্যন্ত অসমে হিন্দুদের জনসংখ্যা বেড়েছে ২.৪ গুণ। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৩.৯ গুণ।' এর ফলে সেরাজ্যের জনবিন্যাস বিপুলভাবে প্রভাবিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কারও প্রতি বৈষম্য হবে না, তবু বিভেদ তৈরির চেষ্টা হচ্ছ, NRC নিয়ে রাজ্যসভায় বললেন রাজনাথ
ব্লগে সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে জেটলি লিখেছেন, প্রতিবেশী দেশ থেকে অসমে অনুপ্রবেশের ফলে সেরাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় মুসলিমরা সংখ্যাগুরু হয়ে উঠেছে বলে মেনে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই জেলাগুলিকে পরে বাংলাদেশে সামিল করার দাবি উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের নামও উল্লেখ করেছেন তিনি। জেটলি লিখেছেন, অনুপ্রবেশের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গও পিছিয়ে নেই। এরাজ্যেও অনুপ্রবেশের ফলে জনবিন্যাসের পরিবর্তন হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
শতাংশের হিসাব বলছে, গত ৫০ বছরে অসমে হিন্দু জনসংখ্যা বেড়েছে ৮০.৯ শতাংশ। সেখানে মুসলিম জনংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ।