Shraddha Walker murder case: খুনের পর শ্রদ্ধার নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় আফতাব!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিনের হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ঘটনা চমকে দিয়েছে দেশবাসী। খুনের ভয়াবহতা, নৃশংসতা শিরদাঁড়া দিয়ে বইয়েছে ঠান্ডা স্রোত। প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করা থেকে ফ্রিজারে দেহাংশ সংরক্ষণ, তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক ভয়ংকর হাড়হিম করা চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার সামনে এল আরও ভয়ংকর তথ্য। পুলিস সূত্রে খবর, জেরায় আফতাব কবুল করেছে যে খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় সে! তারপর সেই 'কিমা' করা নাড়িভুঁড়ি কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়! কতটা ভয়ংকর সাইকোপ্যাথ হলে এঘটনা ঘটানো যায়, আফতাবের কথা শুনে তারই কূলকিনারা পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। 

এর আগেই আফতাব পুলিসকে জানিয়েছে যে, ঘরের মেঝে থেকে রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলতে ব্লিচিং পাউডার সহ আরও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে সে। পাশাপাশি তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর তার দেহ ৩৫ টুকরো করে যে ফ্রিজারে আফতাব সংরক্ষণ করেছিল, সেই ফ্রিজও শ্রদ্ধার টাকাতেই কেনা। একদিকে ফ্রিজে যখন প্রেমিকার দেহাংশ থেকে কাটা মুণ্ডু মজুত, সেই অবস্থাতেও ফ্ল্যাটে নিত্য নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছে আফতাব। পাশাপাশি, মাঝ রাতে ফ্রিজে রাখা শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ডু বের করে তার সঙ্গে কথাও বলত সে। এমনকি মেক-আপও করে দিত শ্রদ্ধার কাটা মণ্ডুতে! শিউরে ওঠার মত বিবরণ এখানেই শেষ নয়। সেই কাটা মুণ্ডু জঙ্গলে ফেলার সময়, যাতে কেউ চিনতে না পারে, তাই শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়েও দেয় ফুড ব্লগার আফতাব। শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত আফতাবের অভিযান! প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব।

শ্রদ্ধার ওয়াকারের খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই আফতাবের 'ডুয়াল পার্সোনালিটি' ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের। বাস্তবে নৃশংস! কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মানবতার’ প্রতীক। আফতাব আমিনের ‘ডুয়াল পার্সোনালিটি’ চমকে দেওয়ার মতো। তার ফেসবুকের একটি পোস্টে লেখা, ‘মহিলারা লেবেল নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন না। বৈষম্যের অবসান করুন!’ কোথাও আবার অ্যাসিডে পুড়ে যাওয়া এক তরুণীর ছবি নিজের ওয়ালে শেয়ার করে লেখা, ‘সে তোমার আর আমার মতই সুন্দরী...অ্যাসিড আক্রমণ বন্ধ করুন...।’

২৬ বছরের শ্রদ্ধা ওয়াকারকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে আফতাব। তারপর নিথর শরীরকে ৩৫ টুকরো করতে একটুও হাত কাঁপেনি ২৮ বছরের ফুড ব্লগার। শ্রদ্ধা যখন বিয়ের জন্য আফতাবকে জোরাজুরি করতে থাকেন, তখনই রাগের মাথায় আফতাব চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।  গত ২২ মে আফতাব-শ্রদ্ধার মধ্যে বিয়ে সংক্রান্ত কারণেই ঝগড়া বেঁধেছিল। এরপরই আফতাবের নৃশংসতার শিকার হন শ্রদ্ধা। এই ঘটনায় গোটা দেশ শিউরে উঠলেও নির্বিকার ওই যুবকের দিল্লির মেহেরলি থানায় নির্লিপ্ত ভাবে ঘুমানোর ছবিও ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই।