নিজস্ব প্রতিবেদন:  লকডাউনে বন্ধ সেলুন। শুক্রবার মধ্যরাতের নির্দেশিকায় বেশ কয়েকটি দোকান খোলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু সেই তালিকায় নেই সেলুন। দীর্ঘ এক মাসের লকডাউনে চুল-দাঁড়ি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অনেক! ঝাঁকড়া চুল আর খোঁচা খোঁচা দাঁড়িয়ে মুখ ভরেছে, বদলেছে চেহারাও!  প্রচণ্ড গরমে ভারী হচ্ছে মাথাও। তাই বোধহয় লকডাউন উপেক্ষা করেই সেলুনে গিয়েছিলেন তাঁরা। হালকা করে ট্রিম করিয়ে নিয়েছিলেন চুল। কিন্তু বিপদ যে এভাবে আসবে, ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। সেলুনে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হলেন ৬ যুবক। মধ্যপ্রদেশের বরগাঁও গ্রামের ঘটনা। গোটা গ্রামকে সিল করেছে পুলিশ।
স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, ওই গ্রামেরই এক বাসিন্দা ইন্দোরে একটি হোটেলে কাজ করেন। তিনি সম্প্রতি গ্রামে ফিরে ওই সেলুনে গিয়েছিলেন চুল দাঁড়ি কাটাতে। ওই ব্যক্তির শরীরের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত।


রাজ্যে এবার মৃত্যু করোনা আক্রান্ত এক স্বাস্থ্যকর্তার, কারণ খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্যদফতর
এরপর ওই সেলুনেই যান গ্রামের আরও দশ বারো জন বাসিন্দা। এরপর তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। করোনা উপসর্গ ধরা পড়ে তাঁদের শরীরে। পরে দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে ৬ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে স্বাস্থ্যদফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নাপিত ওই ইন্দোর ফেরত ওই ব্যক্তির জন্য যে কাপড় ব্যবহার করেছিলেন, সেই কাপড়ই বাকিদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছিলেন। আর তা থেকেই সংক্রমণ ছড়ায়।
তবে ওই নাপিত সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কেন লকডাউনের মধ্যেও সেলুন খোলা রেখেছিলেন, তা নিয়ে নাপিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।