দিল্লিতে এককাট্টা রাহুল-মমতা, বাংলায় তৃণমূলকে `ভোকাট্টা` করছেন সোমেন
আমাদের কাছে বিজেপি ও তৃণমূল দুটোই অশুভ শক্তি, জানালেন সোমেন মিত্র।
কমলিকা সেনগুপ্ত
দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রাহুল গান্ধী। অথচ বাংলায় মমতার ছোঁয়াচ এড়াতে মরিয়া প্রদেশ কংগ্রেস। নেতারা মুখে বলছেন, জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতার জন্যই মমতার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখছেন রাহুল। বুধবারই দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বৈঠকে ছিলেন মমতা ও রাহুল। পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল ও মমতা জানিয়ে দেন, অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি করা হচ্ছে। প্রাক নির্বাচনী জোটও হতে পারে। দিল্লিতে যখন দুই দলের শীর্ষ নেতানেত্রীর এককাট্টা তখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সাফ ঘোষণা, আমাদের কাছে বিজেপি ও তৃণমূল দুটোই অশুভ শক্তি।
সোমেনবাবুর কথায়,''রাহুল স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, সমঝোতা করতে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল দলের স্বার্থ হালাল হয়েছে। এবার সেটা হবে না। তৃণমূলের সঙ্গে জোটের নির্দেশ দেননি রাহুল গান্ধী''।
সোমেনবাবু কলকাতায় বসে যা বলছেন, তার একেবারে উল্টো হওয়া দিল্লিতে। বুধবার লোকসভায় চিটফান্ড নিয়ে সরব হন অধীর চৌধুরী। তা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করে সনিয়া গান্ধীর কাছে নালিশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মমতাকে সনিয়া বলেন, পরস্পরকে দোষারোপ করলেও তাঁরা বন্ধু। এরপর মমতার সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী। সন্ধেয় আবার শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বৈঠকেও ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ভোটের আগে সমঝোতার ইঙ্গিতও মিলেছে। সবমিলিয়ে তৃণমূল-কংগ্রেস নৈকট্য একেবারে স্পষ্ট। তৃণমূল নেত্রী নিজেও ঘোষণা করেছেন, জাতীয়স্তরে কংগ্রেস-সিপিএমের সঙ্গে জোটে তাঁর আপত্তি নেই। মোদীকে সরাতে আত্নত্যাগে রাজি। তবে রাজ্যে একাই লড়াই করবে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- দোভালের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর, শুক্রবার পুলওয়ামায় এনআইএ, এখনও পর্যন্ত কী ঘটেছে?
সোমেনবাবু বলছেন বটে রাজ্যে আলাদা সমীকরণ। কিন্তু এটা কি তৃণমূলস্তরের কর্মীদের বোঝাতে পারবেন? বিশেষ করে শাসক দলের বিরুদ্ধে যাঁরা অত্যাচারের অভিযোগ করছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখে স্বীকার না করতে চাইলেও আদতে বেজায় বিড়ম্বনায় প্রদেশ নেতৃত্ব। তাঁদের অবস্থা এখন শ্যাম রাখি না কূল।