নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে উত্তরপ্রদেশে বড় চমক দিল বিজেপি। গোরক্ষপুরের সাংসদ সমাজবাদী পার্টির প্রবীণকুমার নিশাদকে দলে টেনে নিল মোদী-অমিতের দল। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রসঙ্গত, প্রবীণকুমার নিশাদ কোনও সাধারণ সাংসদ নন। কারণ, তিনিই সেই কুশীলব, যাঁর জয়ে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট গঠনের পালে হাওয়া লেগেছিল। গোরক্ষপুর উত্তরপ্রদেশে বিজেপির গড় হিসেবেই পরিচিত ছিল। বর্তমানে ওই রাজ্যের মুখমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোরক্ষপুর থেকে পাঁচবার জিতেছিলেন।


২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি ওই আসন থেকে ইস্তফা দেন। তার পর উপনির্বাচন হয়। যখন ওই ভোট হয়, তখন উত্তরপ্রদেশ তথা গোটা দেশে বিজেপিকে অপ্রতিরোধ্য বলে মনে হচ্ছিল।


আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ‘মোদীর সেনা’ বলায় নাম না করে যোগীকে বেইমান বললেন ভি কে সিং!


কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট হয়। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী প্রবীণকুমার নিশাদকে বহুজন সমাজ পার্টি, কংগ্রেস সমর্থন করে। তাতেই থমকে যায় বিজেপির বিজয়রথ। সাংসদ হন প্রবীণকুমার নিশাদ।


২০১৪ সালে বিজেপি মোদী ঝড়ে বিরোধীদের উড়িয়ে দেয়। তার পর প্রায় অধিকাংশ বিধানসভা নির্বাচনেই বিজেপি জিতছিল। শুধুমাত্র বিহারে মহাজোট বিজেপিকে হারাতে পেরেছিল। সেই ফর্মুলাই কাজে আসে উত্তরপ্রদেশে। তার পর থেকেই বিজেপিকে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে হারাতে মহাজোটের পরিকল্পনা শুরু হয় বিজেপি শিবিরে।


আরও পড়ুন: বিরোধীদের কখনও 'দেশদ্রোহী' তকমা দিইনি, মোদী-শাহকে বিঁধলেন আডবাণী


রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, প্রবীণকুমার নিশাদের বাবা সঞ্জয় নিশাদ। তিনি নিশাদ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। গোরক্ষপুরে নিশাদ সম্প্রদায়ের প্রায় ৩.৫ লক্ষ ভোটার রয়েছে। ফলে ভোটের আগে গোরক্ষপুরে বিজেপিতে কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ পেল।


যদিও এতে চিন্তিত নন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। তিনি ইতিমধ্যেই গোরক্ষপুরের জন্য নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি অভিযোগ করেছেন, টাকার বিনিময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন প্রবীণ।


আরও পড়ুন: নৌসেনার হাতে আসছে ৫০,০০০ কোটি টাকার ৬ শক্তিশালী সাবমেরিন


২০১৪ সালে বিজেপি উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭১টি জিতে নিয়েছিল। বহুজন সমাজ পার্টি একটি আসনও পায়নি। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি পেয়েছিল মাত্র পাঁচটি আসন। তিন বছর পর, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতে উত্তরপ্রদেশের সরকার গড়ে বিজেপি। খড়কুটোর মতো উড়ে যায় সপা-বসপা-কংগ্রেস।


আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় সেনা অভিযানে নিহত মাসুদ আজহারের ভাইপো


এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে হারাতে হাত মিলিয়েছেন বুয়া মায়াবতী ও বাবুয়া অখিলেশ। কিন্তু বুয়া-বাবুয়ার সঙ্গে নেই রাহুলের কংগ্রেস। তার পরও বিজেপিকে হারাতে মরিয়া অখিলেশ-মায়াবতী জুটি। সেই লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়তে হল তাঁদের।