সংসদে জেটলিকে লক্ষ্য করে কাগজের বিমান, মেজাজ হারালেন স্পিকার, দেখুন ভিডিও
জেটলিকে লক্ষ্য করে কাগজের প্লেন ছোড়েন কংগ্রেস সাংসদরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদদের আচরণে চটে গেলেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। এদিন রাফালে নিয়ে বিতর্কে অধিবেশনকক্ষে বক্তব্য রাখছিলেন অরুণ জেটলি। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে উড়ে আসছিল কাগজের বিমান। ক্ষুব্ধ সুমিত্রা মহাজন প্রশ্ন তোলেন, শোনার ইচ্ছাই যখন নেই, তখন কেন বিতর্ক চেয়েছিলেন আপনারা?
রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে বিতর্কে টানটান নাটকের সাক্ষী থাকল বুধবার লোকসভার অধিবেশন। রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন, রাফাল নিয়ে জবাব দেওয়ার সাহস নেই প্রধানমন্ত্রীর, নিজের ঘরে লুকিয়ে রয়েছেন। পাল্টা রাহুলকে 'মিথ্যার ঐত্যিহ্য' বহন করে চলার অভিযোগ করেন জেটলি। লোকসভায় রাহুল গান্ধী বলেন, নিজের প্রিয় বন্ধুকে চুক্তি পাইয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে করদাতাদের লোকসান হয়েছে ৩০,০০০ কোটি টাকা। সংসদে প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার সাহস নেই প্রধানমন্ত্রী। এআইডিএমকে-র সাংসদদের পিছনে লুকিয়ে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পাল্টা অরুণ জেটলি বলেন,''অতীতের প্রতিরক্ষা দুর্নীতির হোতারা এখন নরেন্দ্র মোদীর সরকারের উপরে আঙুল তুলছেন''।
অরুণ জেটলি যখন রাফাল বিতর্কে অগুস্তা, কুত্তোচ্চি প্রসঙ্গ টেনে আনেন, তখন তাঁকে লক্ষ্য করে উড়ে আসতে থাকে কাগজের বিমান। কংগ্রেস সাংসদরাই জেটলিকে উদ্দেশে ছুড়তে থাকেন। ঘটনায় মেজাজ হারান স্পিকার সুমিত্রা মহাজান। বলেন,''ছোটবেলায় আপনারা কাগজের বিমান ওড়াননি? এখন এমনটা কেন করছেন?'' বিরোধীরাই রাফাল নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন বলেও মনে করিয়ে দেন লোকসভার অধ্যক্ষ। জেটলির কটাক্ষ, ইউরো ফাইটারের স্মৃতিতে হয়তো কাগজের বিমান ওড়াচ্ছেন। প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিমানের বরাতের লড়াইয়ে ছিল ইউরো ফাইটার ও ডসল্ট। তবে বরাতটি পায় ফরাসী সংস্থাটি।
কংগ্রেস সাংসদ গুরজিত্ সিং পরে বলেন,''রাফাল নিয়ে আলোচনায় বফর্স, অগুস্তা ও ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন অরুণ জেটলি। সে কারণেই কাগজের বিমান ছুড়েছি। আমরা যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত চাই''।
আরও পড়ুন- বেকার ও গরিবদের অ্যাকাউন্টে মাসের শেষে টাকা, বাজেটেই বড় ঘোষণা!
রাফাল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত উড়িয়ে দেন জেটলি। তিনি বলেন, ''যেখানে সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চিত করেছে গোটা প্রক্রিয়ায় কোনও ধোঁয়াশা নেই, এর পর কোনও তদন্তের প্রয়োজন হয় না। অরুণ জেটলি মনে করিয়ে দেন, রাফাল ইস্যু কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নয় যে জেপিসি-তে পাঠানো দরকার। রাফাল চুক্তিতে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কি হয়নি, সেই প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছে। এর পর আর কোনও প্রশ্নই থাকতে পারে না!