ভারতকে পাশে রাখতে মত্স্যজীবীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার
গত ২১ অগাস্ট ষোলো জন মত্স্যজীবীকে গ্রেফতার করে শ্রীলঙ্কা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তামিল জেল বন্দিদের মুক্তি দিতে চলেছে শ্রীলঙ্কা। খুব শিগগিরই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা এবং প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে। জানালেন রাজাপাকসের পুত্র, সাংসদ নমল রাজাপাকসে। স্বাভাবিকভাবেই এ ঘোষণাকে আড়চোখে দেখছে আন্তজার্তিক মহল। তাহলে কি ভারতের সঙ্গে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় শ্রীলঙ্কা?
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে হাড্ডাহাড্ডি টক্কর চলছে ভারত আর চিনের। আন্তর্জাতিক মহলের মত, মালদ্বীপ থেকে শ্রীলঙ্কায় চলতি যে আঁচ, সেই টক্করেরই ফল। সম্প্রতি মালদ্বীপ নিয়ে চিনকে গোল দিয়েছে ভারত। পাল্টা গোল শোধ করতে মরিয়া চিন।সদ্য প্রধানমন্ত্রীত্বের গদি হারিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। যিনি ভারতপন্থী। তাকে সরিয়ে ফের গদিতে চিনপন্থী মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে। ২০০৫থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাজাপাকসের আমলেই শ্রীলঙ্কা থেকে হাত আলগা হয়েছে ভারতের। স্বাভাবিক ভাবেই রাজাপাকসের প্রধানমন্ত্রীত্বের জবরদখল নিয়ে বিরক্ত ভারত। উদ্বেগে গোটা বিশ্বও। আন্তর্জাতিক মহলও বিক্রমাসিংহেকে সরানো নিয়ে রাষ্ট্রপতি সিরিসেনার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ।
ক্ষোভের আঁচ যে বাড়ছে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এক্ষেত্রে চিন যে কাজে আসবে না, তা স্পষ্ট। তাই গুডবয় ইমেজের ভারতের বিরক্তিতে মলম লাগাতে উদ্যোগ। এলটিটিই ইস্যু থেকেই তামিলদের ক্ষোভের জায়গা শ্রীলঙ্কা। তাছাড়া মত্স্যজীবীদের মাঝেমধ্যেই গ্রেফতারির ইস্যু তো আছেই। অনেক তামিল শ্রীলঙ্কার জেলে আটক। তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। সাংবিধানিক সংকট, আর গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তির বারোটা বাজার সময়কালে তাই ভারতের মতো পুরোনো বন্ধুই ভরসা। বন্ধুর ভরসা ফেরাতেই তামিল বন্দিদের মুক্তি দিতে চাইছে সিরিসেনা-রাজাপাকসে সরকার। আশা, এই উদ্যোগের পাল্টা, ভারত যদি রাজাপাকসের সমর্থনে সায় দেয়।
গত ২১ অগাস্ট ষোলো জন মত্স্যজীবীকে গ্রেফতার করেছে শ্রীলঙ্কা। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই নিয়ে দরবার করেছেন। এই অবস্থায় আটক তামিলদের মুক্তির ভাবনা, শ্রীলঙ্কার মাস্টারস্ট্রোক। অবস্থান ঠিক রেখে, পাল্টা কী গুগলি দেয় ভারত, আন্তর্জাতিক মহলের নজর সে দিকেই।
আরও পড়ুন-