স্টিং অপারেশন বললেই যাদের কথা মাথায় আসে
নারদ নিউজের সৌজন্যে এখন খবরে স্টিং অপারেশন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক স্টিং অপারেশন বললে কাদের কথা মাথায় আসে---
শক্তি কাপুর-- ইন্ডিয়া টিভির এক স্টিং অপারেশনে দেকানো হয়েছিল শক্তি কাপুর কাস্টিং কাউচের সঙ্গে জড়িত। যৌনতার বিনিময়ে এক নবাগতা মহিলাকে সিনেমায় সুযোগ করে দেওয়ার টোপ দিয়ে ছিলেন শক্তি কাপুর। এমনটাই দেখানো হয়েছিল সেই স্টিং অপারেশনে। এই স্টিং অপারেশন ইন্ডিয়া টিভিকে দেশের সামনে জনপ্রিয় করে তোলে। যদিও স্টিং অপারেশনটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল।
আমন ভর্মা-ইন্ডিয়া টিভির আরও এক স্টিং অপারেশন। গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে এখানেও সেই যৌনতার বিনিময়ে এক তরুণীকে অভিনয়ে সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অ্যাঙ্কর-অভিনেতা অমন ভর্মার বিরুদ্ধে। যৌনতার সঙ্গে অভিনেতার যোগ মিলিয়ে এই স্টিং অপারেশনটিও খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে এবারও প্রশ্ন উঠেছিল ভিডিওটির বৈধতা নিয়ে।
বঙ্গারু লক্ষ্মণ--২০০১ সালের এই আলোড়ন তৈরি করা `স্টিং অপারেশন` কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হন তত্কালীন বিজেপি সভাপতি বঙ্গারু লক্ষ্মণ। নারদ নিউজের প্রধান ম্যাথু স্যামুয়েল এই স্টিং অপারেশনটি তহেলকা ম্যাগাজিনের হয়ে করেছিলেন। হাজতবাস হয় লক্ষ্মণের। একেবারে সাফল্যের চূড়া থেকে একটা স্টিং অপারেশন লক্ষ্মণকে কার্যত ছুড়ে ফেলে দেয়।
জর্জ ফার্নান্ডেজ-তহলকা ডট কম নামে একটি ওয়েবসাইট প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে স্টিং ভিডিও প্রকাশ করে। তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ, বিজেপি সভাপতি বঙ্গারু লক্ষ্মণ, সমতা পার্টির সভানেত্রী জয়া জেটলির বিরুদ্ধে বিপুল ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সেই ভিডিওতে। উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। নাম ছিল‘অপারেশন ওয়েস্ট এন্ড ’৷ যাতে দেখা যায় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনাকাটায় ঘুষ দেওয়া হচ্ছে ৷ ওই কেলেঙ্কারির জেরে পদত্যাগ করেন তত্কালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজও৷
মায়া কোদনানি- ২০০৭ সালে আবার তেহেলকা সোরগোল ফেলে দেয় একটি স্টিং অপারেশনের মাধ্যম৷ ছ ’মাস ধরে চেষ্টা চালিয়ে তারা প্রমাণ করে, ২০০২ সালে গুজরাতের নারোদা পাতিয়া গণহত্যায় প্রধান ভূমিকা নেন বজরঙ্গ দলের নেতা বাবু বজরঙ্গি ও রাজ্য সরকারের মন্ত্রী মায়া কোদনানি৷ এরই জেরে ২০১৩ সালে বিশেষ আদালত প্রথম জনকে যাবজ্জীবন এবং দ্বিতীয় জনকে ২৮ বছরের কারাবাসের শাস্তি দিয়েছে৷